রাস্তার পাশে ব্যাগভর্তি মডেলের মৃতদেহ

মুম্বইয়ের মালাদ এলাকা। সেখানে এক সড়কের পাশে পড়ে আছে একটি বিশাল স্যুটকেস। একজন ট্যাক্সিচালক তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তা খুলতেই বেরিয়ে আসে এক আস্ত মৃতদেহ। তিনি পুরুষ নন, একজন নারী। উদীয়মান একজন মডেল মানসী দীক্ষিত (২০)। তাকে হত্যা করে হাত এবং কাঁধ বেঁধে রাখা হয়েছে রশি দিয়ে। এরপর ওই মৃতদেহ স্যুইটকেসে ভরে ফেলে দেয়া হয়েছে রাস্তার পাশে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।

নিহত মানসী দীক্ষিতের বয়স প্রায় ২০ বছর। মডেল হওয়া ছিল তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে রাজস্থানের কোটা ছেড়ে তিনি পা রেখেছিলেন মুম্বইতে। তিনি এখানে পড়াশোনা করছিলেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন রকম ব্যবসায় সম্পর্কিত ইভেন্টের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ম্যানেজমেন্ট, ডিজাইনিং সহ বিভিন্ন ইভেন্ট নিয়ে কাজ করতেন তিনি। তার অফিস ছিল আধেরি এলাকায় ইনফিনিটি মলে।

তাকে হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ মুহজাম্মিল সাইদ নামে ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি হায়দরাবাদের মিল্লাত নগরে। পুলিশ বলছে, নিহত মডেল ও এই ছাত্র একজন আরেকজনকে চিনতেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জি নিউজ লিখেছে, সোমবার বিকেলে মালাদের বাণিজ্যিক এলাকা মাইন্ডস্পেসের কাছে একটি সড়কের পাশে একটি ট্রাভেলিং ব্যাগে উদ্ধার করা হয় ওই মডেলের মৃতদেহ।

রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মডেল মানসীকে নিজের ফ্লাটে ডেকে নেয় মুজাম্মিল। কয়েক মিনিট তাদের মধ্যে কথা বিনিময় হয়। এরপরই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তাদের মধ্যে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ভারি কিছু দিয়ে মুজাম্মিল হত্যা করে মানসীকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এরপর মৃতদেহকে একটি ট্রাভেলিং ব্যাগে ভরে ফেলে মুজাম্মিল। একটি ওলা ট্যাক্সি ভাড়া করে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত। পথের শধ্যে সে চালককে থামতে বলে। নির্জন স্থানে নেমে সে ওলা চালককে বলে, বাকি রাস্তা সে রিস্কায় করে যেতে চায়। এরপর ওলা চালক চলে যান। ওদিকে মুজাম্মিল রাস্তার পাশে মৃতদেহ ভর্তি ব্যাগটি ফেলে দেয়। কিছু সময় পরে আবার ওই পথেই যান ওই ওলা চালক। তিনি তখন সেখানে ওই ব্যাগটি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে অভিযুক্ত মুজাম্মিলের খোঁজ করতে থাকে। চার ঘন্টার মধ্যে তাকে ধরে ফেলে তারা। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে পুলিশ।

ওদিকে ফরেনসিক টিম পৌঁছে ঘটনাস্থলে। আর মৃতদেহকে পাঠানো হয় হাসপাতালে পোস্টমর্টেমের জন্য। বাঙ্গুরনগর পুলিশ স্টেশন এ বিষয়ে আরো তদন্ত করছে।