ড. কামাল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মার সঙ্গে বেঈমানি করেছেন: হাছান

ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ড. কামাল হোসেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মার সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। তিনি কথায় কথায় নিজেকে বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে দাবি করলেও যে দল তাকে খুন করেছে, খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে ও পুরস্কৃত করেছে, সেই দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন।’

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের অন্যতম এই মুখপাত্র বক্তৃতায় বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনে ‘শয়তানের’ সঙ্গে ঐক্য করারও ঘোষণা দিয়েছিল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে বিএনপি যাদের সঙ্গে নতুন করে ঐক্য করেছে তারা আসলে কে?

তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেন কথায় কথায় মানবাধিকার ও আইনের শাসনের কথা বললেও বঙ্গবন্ধুর খুনি, ২১ আগস্টের হামলাকারী, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারীরে সঙ্গে ঐক্য করেছেন। তিনি আগে শুধু একজন জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদ ছিলেন, এখন তিনি পচে যাওয়া রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশের নামে দেশে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।’

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিলেটসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছে। এ সমাবেশগুলোতে তারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবে। এ ধরনের অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।

আওয়ামী লীগের অন্যতম এই মুখপাত্র হাছান মাহমুদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা মূলত ষড়যন্ত্রকারী। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের ভাড়া করেছেন। তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’

তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট থেকে ন্যাপ ও এনডিপি বেরিয়ে গেছে। সামনে আরও কয়েকটি দল বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, ২০ দলীয় জোটের ঐক্য যারা ধরে রাখতে পারে না, তাদের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সুচতুরভাবে ড. কামাল হোসেনকে জোটের নেতা বানিয়ে তাদের দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মাইনাস করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ নামের একটি সংগঠন ‘বিএনপি, জামায়াত ও ড. কামাল হোসেন গংদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এই মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে।

সংগঠনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক মিরাজ হোসেন, সংগঠনের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টোয়েল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।