নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার সঙ্গে কথা হয়নি : কাদের

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর বনানী সেতু ভবনে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তার (শ্রিংলা) সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। ভারত একটি বড় গণতান্ত্রিক দেশ। স্বাভাবিকভাবেই তারা চাইবে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক। শুরু থেকেই তারা বলে আসছে, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন তারা প্রত্যাশা করে। আমাদের নির্বাচনে ভারত পক্ষপাতমূলক নাক গলানোর মতো কোনো ভূমিকা পালন করতে চায় না। নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে, এটাই গণতন্ত্রিক একটি দেশ হিসেবে তারা প্রত্যাশা করে।’

কাদের বলেন, ‘সে ধরনের কোনো আশঙ্কা তিনি আমার কাছে প্রকাশ করেননি। তাছাড়া আমার মনে হয় না আমাদের নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের আশঙ্কা কিংবা উদ্বেগ তাদের আছে। আমাদের দেশে যখনই নির্বাচন আসে বিভিন্ন হিসাব সামনে চলে আসে। ১৪টির মতো অ্যালায়েন্স এখন কাজ করছে। ২০০টির উপরে রাজনৈতিক দল রয়েছে। এখন মেকিং আর ব্রেকিং এর খেলা চলছে। এ খেলায় ফাইনাল শেভটা কী নেবে সেটা এখনই বলা মুশকিল। আমাদের সঙ্গেও কিছু কিছু দল আসতে চাইছে। সাতটি বাম সংগঠনের একটি জোট আমাদেরকে চিঠি দিয়ে গেছে। নির্বাচনী জোটে আমাদের সঙ্গে আসার ব্যাপারে জাকের পার্টি আমার সঙ্গে কথা বলেছে। এছাড়া নাজমুল হুদা আমাদের সঙ্গে আসতে চান। এ ব্যাপারটা তো গোপন কিছু নই।’

সাংবিধানিক পদে থেকে গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতার দায়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের পদত্যাগ দাবি করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইস্যুতে আওয়ামী লীগের অবস্থান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাহবুব তালুকদারের বিষয়টি নিয়ে কেন এতো হৈ চৈ হচ্ছে, আমি এটা জানি না। একজন একটি বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। এতে কি নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে? আমি তো মনে করি ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার যেকোনো নির্বাচন কমিশনারের রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তার সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের ভিন্নমত হয়েছে। তাতে নির্বাচন কমিশনে কোনো সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমরা কেন নির্বাচন কমিশনের কারোও (মাহবুব তালুকদার) পদত্যাগ দাবি করব! আমি এবং আমাদের দল এ ধরনের কোনো চিন্তা ভাবনা করেনি।’

কাদের বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের বিষয়। আমরা যখন দলীয় সভায় অংশগ্রহণ করি, তখন কি সবাই এক ইস্যুতে একমতে মিলিত হতে পারি? এখানে তো নির্বাচন কমিশন সেখানে ভিন্নমত হতেই পারে।’

এ সময় মোহাম্মদ নাসিমের বক্তব্য আওয়ামী লীগের বক্তব্য নয় বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘একজন ভিন্নমত পোষণ করলেই তার পদত্যাগ দাবি করতে হবে, এর কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না। এটা তার ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে। আমাদের দলীয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটা তার পার্সোনাল ওপিনিওন কিংবা ১৪ দল কি চিন্তা করছে আমি তা জানি না। সবাই কি সব সময় সব ইস্যুতে একমত হবে? একটা পয়েন্টে হয়তো হয়নি আরেকটা পয়েন্টে তারা একমত হয়ে যাবেন। তবে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে সেটা তার ব্যাপার। আমরা আওয়ামী লীগ থেকে কোনো পদত্যাগ দাবি করছি না।’