যশোরের ছাত্রদল নেতাকে হত্যার দায়ে ৯ জনের যাবজ্জীবন

যশোর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কবির হোসেন পলাশ হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় নয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন দুই জন।

খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও এক বছর সশ্রম কারাগারে থাকতে হবে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন যশোর শহরের ষষ্ঠিতলা পাড়ার তরিকুল ইসলাম, চাঁচড়া রায়পাড়ার প্রিন্স ওরফে বিহারী প্রিন্স, গাড়িখানা রোডের জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা মানিক, ঘোপ বৌবাজার এলাকার রবিউল শেখ, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের সজল, টুটুল গাজী, বেজপাড়ার টিবি ক্লিনিক এলাকার ফয়সাল গাজী, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার শহিদুল ইসলাম খান ওরফে সাইদুল ও বাঘারপাড়া উপজেলার বহরমপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শহিদুল ইসলাম।

তাদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন প্রিন্স, কালা মানিক, রবিউল শেখ, সাইদুল ও শহিদুল ইসলাম।

অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন পূর্ব বারান্দিপাড়া কবরস্থান রোডের রাজ্জাক ফকির ও যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে আল মাসুদ রানা ওরফে মাসুদ।

সব আসামির বাড়ি যশোরের বিভিন্ন এলাকায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল মামলার নথির বরাতে বলেন, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যশোর শহরের ঈদগাহ মোড় এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে কয়েকজন পলাশকে গুলি করে ও বোমা মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পলাশের বোন ফারহানা ইয়াসিমন ১১ জনের নাম উল্লেখ করে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

আইনজীবী এনামুল বলে, চলতি বছর ১৬ মে খুলনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে নয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এই রায় দিয়েছে।