কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

কুষ্টিয়ায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত হয়েছেন। পুরিশের দাবি, তারা মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার কবুরহাট এবং দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে পৃথক এসব ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন জানান, রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাটের মাদ্রাসাপাড়া জিকে ক্যানেলের পাশে দু’দল মাদক ব্যবসায়ী গোলাগুলি করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাসী করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিদেশী পিস্তল ৩ রাউন্ড গুলি ও ৮শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজসহ ৪ পুলিশ আহত হয়। আজ সকালে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে নিহত আজম (২৫) এর লাশ সনাক্ত করে। তিনি দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের পাকুড়িয়া শকুনতলা গ্রামের রফিকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৫ টি মামলা রয়েছে।

অপরদিকে দৌলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, রাত ৩টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বাঁধের বাজার এলাকার মুসলিমনগর মাঠে দু’দল মাদক ব্যাবসায়ী’র মধ্যে বন্দুযুদ্ধের পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসাপতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মদন (৪৫) প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামের রিফাজ উদ্দিনে ছেলে। পুলিশ আরো জানিয়েছে, তিনি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দেড় ডজনেরও বেশী মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল ৩ রাউন্ড গুলি, ৯শ পিস ইয়াবা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন।