রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে যুগ্ম সম্পাদকের কক্ষ দখলের অভিযোগ

প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে এক যুগ্ম সম্পাদকের কক্ষে তালা লাগিয়ে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে ২১৯ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে।

এই কক্ষে থাকতেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফ করিম রুপম। সে ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান সিনহা যুগ্ম সম্পাদক সাইফ করিম রুপমকে ফোন করেন। ফোনে মিজানুর রহমান সিনহা সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওই কক্ষে তালা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান। তখন রুপম জিজ্ঞাসা করে আমি ছাত্রলীগ করি কেন আমার রুমে তালা লাগানো হবে? এরপর ৯ টার দিকে এসে রুপম তার রুমে তালা লাগানো দেখতে পান। গতকাল সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার রুমে তালা লাগানো ছিল বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী যুগ্ম সম্পাদক রুপম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। সভাপতির সাথে বিগত ৬ বছর ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। জীবন বাজি রেখে যেকোন সিদ্ধান্তে দলের জন্য প্রথম থেকেই আছি। কিন্তু সভাপতি চায় আমি যেন আর রাজনীতি না করি। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বর্তমান সভাপতি অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার কারণে রাবি ছাত্রলীগের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক ছাত্রলীগ কর্মী ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছে। প্রথম থেকেই সভাপতির বিভিন্ন ভুল পদক্ষেপের বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করতাম। ভবিষ্যতে আমি রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়তে চাই। তাই প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কারণ ছাড়াই আমার রুমে তালা লাগানো আমাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমি সভাপতিকে ফোন দিলে সে বলে, তোর সাথে কথা বলতে ভাল লাগছে না, তুই ফোন কাট।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র কয়েকজন নেতা দাবি করেন, যারা আগে ছাত্র রাজনীতি করার কথা বলে সভাপতির হাত ধরে হলে উঠেছে কিন্তু বর্তমানে তাদের সঙ্গে রাজনীতি করছে না। তাদেরকে হল থেকে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। সাইফ করিম রুপম এখন সভাপতির কথামতো চলছে না। যদিও পূর্বে তার হয়ে রাজনীতি করত। তাই মনক্ষুন্ন হয়ে রুমে তালা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন।