আরো একটি জয় পাকিস্তানের

শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রান, পাঁচ বলে ১০ রান নেয়ায় শেষ বলে করতে হতো ৭ রান। যা ছিলো অসম্ভব পর্যায়ের কাজ। ছক্কা মারলেও সর্বোচ্চ টাই করা যেত ম্যাচটি। কিন্তু পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির করা শেষ বলে কেবল চার মারতে সক্ষম হন রস টেলর।

ফলে ২ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। শ্বাসরুদ্ধকর এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি পাকিস্তানের টানা সপ্তম জয়। এছাড়া নিজেদের সবশেষে ২০টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে ১৮টিতেই জিতেছে র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানীয় দলটি।

প্রায় ছয় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নেমে আবুধাবিতে টসে হেরে যায় নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে পাকিস্তান। জবাবে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে সমান উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ের ১ নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজম। পরের ওভারে ফেরেন আরেক ওপেনার সাহেবজাদা ফারহান।

তবে তৃতীয় উইকেটে পরিস্থিতি সামাল দেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ এবং আসিফ আলি। দুজন মিলে ৫১ বলে যোগ করেন ৬৭ রান। আসিফ ২১ বলে ২৪ ও হাফিজ খেলেন ৩৬ বলে ৪৫ রানের ইনিংস।

এছাড়া অধিনায়ক সরফরাজ ২৬ বলে ৩৪ ও শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিম মাত্র ৫ বলে ১৪ রান করলে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে অ্যাডাম মিলনে নেন ২টি উইকেট।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লে’তেই পঞ্চাশ রানের জুটি করে ফেলেন দুই কিউই ওপেনার কলিন মুনরো এবং গ্লেন ফিলিপস। ঠিক পঞ্চাশ রানের মাথায় ১২ রান করে ফেরেন ফিলিপস। ৬ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৪২ বলে ৫৮ রান করেন মুনরো।

ব্যর্থ হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১১) ও দুই অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (৬) এবং কোরি অ্যান্ডারসন (৯)। তবে একা হাতে লড়াই চালিয়ে যান রস টেলর। মাত্র ২৬ বলে খেলেন ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন হাসান আলি। তবে ব্যাট হাতে ৪৫ রান করার পরে বল হাতে তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করায় ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন মোহাম্মদ হাফিজ।