‘আওয়ামী লীগেকে নেতৃত্ব শূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে জেলহত্যা করা হয়েছিল’

যশোরে জেলা হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, শেখ হাসিনার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আগামী জাতীয় সংসদ সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। নৌকা মার্কা জয়ী হলে দেশের ধনী, গরীব, অসহায়, দুঃস্থ সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। দেশে কোন খুন, হত্যা রাহাজানী থাকবে না। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যবহত থাকবে। বাংলাদেশ মালাইশিয়া সিঙ্গাপুরের মত দেশ হবে। শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে ঢাকা শহরের সামগ্রিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকা শহর সিঙ্গাপুরের মত শহরে পরিণত হয়েছে। দেশের এসব উন্নয়ন দেশে বিএনপি-জামায়াতের সহ্য হচ্ছেনা। তারা বুঝতে পেরেছে ভোটে তারা কোনভাবেই জয়ী হতে পারবে না। তাই পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য নানা ধরণের ফঁন্দি-ফিকির আটছে। এদের থেকে সবাই সচেতন হতে হবে। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। নিজেদের স্বার্থে এরা সব ধরণের অঘটন ঘটাতে পারে।

শনিবার যশোর শহরের মণিহার চত্ত্বরের সামনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু।

প্রধান অতিথি বলেন, জেলা হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে ন্যাকরজন ঘটনা। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে খুনী জিয়াউর রহমানের নির্দেশে জেলাখানায় জাতীয় নেতাদের হত্যা করা হয়েছিল। জেলহত্যা মূল উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য হায়দার গনি খান পলাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক সুখেন মজুমদার, সদর উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সেতারা খাতুন, কাউন্সিলর মোকসিমুল বারী অপু, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন টগর, সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দিন মিটু, দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সদরের আহবায়ক অশোক কুমার বোস, যুগ্ম-আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম মাজহার ও শহীদুজ্জামান শহীদ, শহর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শুভ চক্রবর্তী মিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়সাল খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ সরদার, সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রলীগ নেতা জুম্মান আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা কায়েস আহমেদ রিমু প্রমুখ।