নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় আবারো হেলমেট বাহিনীর তান্ডব দেখা গেছে। এ সময় মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও মাথায় হেলমেট পড়ে একদল যুবক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।। এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর একইভাবে হামলা চালিয়েছিলো এই হেলমেট বাহিনী।
সূত্র জানায়, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস তার মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে বিশাল কর্মী বাহিনীও ছিলো। নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এই সময় পুলিশ শোডাউনের পেছনে থাকা দুই বিএনপি কর্মীকে লাঠিচার্জ করে। তারা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।
কিন্তু পুলিশ আবারো লাঠিচার্জ করলে উত্তেজিত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী আহত হয়।
এতে বিএনপি কর্মীরা সরে গিয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এরইমধ্যে একদল যুবক মুখে কালো কাপড় এবং মাথায় হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ির ওপর তান্ডব চালায়। ভাঙচুর করতে থাকে। তারা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দুপুর একটার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগে গত দুই দিনের মতো শান্তিপূর্ণভাবে বিতরণ ও গ্রহণ চলছিলো। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সেখানে বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থকের সমাগম ঘটে।
উৎসবমুখর পরিবেশে বিএনপির মনোনয়নপত্র বিক্রি চলছিল। যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত পুলিশের সঙ্গে বেলা ১১টায় হাতাহাতির ঘটনা থেকে পুলিশ ও মনোনয়ন কিনতে আসা নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় অনেক নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে এলাকাটি রণাঙ্গণে পরিণত হয়। এখনো বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে বলে জানা গেছে।