যশোর-৪ আসনে আ’লীগের ১৯ মনোনয়ন প্রত্যাশী, ভাগ বসাতে চায় শরীকরা

14 dol lig logo

যশোর-৪ (বাঘাপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে আওয়ামী লীগের ১৯ জন নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী। জেলার অন্য ৫টি আসনের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশী এই আসনে। মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিরও পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই আসনটি। নিজ দলের নাকি জোটের শরীক দলের প্রাথী চূড়ান্ত হচ্ছে, সেটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

তবে আলোচনা যাই হোক, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আসনটিতে জিতে আসতে পারবে এমন প্রার্থীর খোঁজে আছে দলটি। শক্ত প্রতিপক্ষকে মোকাবেলায় যোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে রয়েছে দলের হাইকমান্ড। সেই বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে সেটি দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও কিছু দিন।

জানা গেছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরের একটি আসনে ভাগ বসাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি। আর এক্ষেত্রে শরীকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে যশোর-৪ আসন। ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসন ছাড়তে নারাজ আওয়ামী লীগও। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরম তুলেছেন।

তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়, সাবেক হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এনামুল হক বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল ইসলাম কাজল, কৃষকলীগ নেতা আমজাদ হোসেন, সরদার ওলিয়ার রহমান, ফরিদ জাহাঙ্গীর, সোলাইমান হোসেন, আলমগীর হাসান রাজিব, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর রশিদ স্বপন, জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব ইফতেখার, বিভাষচন্দ্র বিশ্বাস, এসএম জাকির, আব্দুল কবির খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরজাহান ইসলাম নিরা, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লাইজু জামান, রকিবুল আনোয়ার ও নওয়াপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর রবিন অধিকারী ব্যাচা।

আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক এমপিসহ জনপ্রিয় নেতাদের পাশাপাশি নতুন মুখও রয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশায়। তবে এবার দলের প্রার্থী নাকি শরীককের ভাগে পড়ছে আসনটি, সেটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনার ঝড়। তবে ভোটের রাজনীতিতে মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি ছাড় দিতে নারাজ। তারা ওই আসনের দাবিদার।

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহুরুল হক জহির প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। জাতীয় পার্টির এক শ আসনের তালিকায় রয়েছে এই আসনটি। বসে নেই বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিও। মহাজোটের শরীক দল হিসেবে যশোরের একটি আসন তারা দাবি করেছে। সেটি যশোর-৪ আসন। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ইকবাল কবীর জাহিদ ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছেন। আসন ভাগাভাগিতে শেষ পর্যন্ত কার কপাল খোলে সেটি দেখার জন্য আর কয়টা দিন অপেক্ষা করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ১৪ দলের কাছে যশোরের একটি আসন দাবি করেছি। আশা করি, আমরা ওই আসন পাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘উইনেবল প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’ বাঘারপাড়া-অভয়নগরের বাস্তবতায় ওয়ার্কার্স পার্টিকে আসনটি দিলে বিজয় উপহার দিতে পারব।

তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রার্থী বাছাই চলছে। এরপর জোটের আসন ভাগাভাগি হবে। এখনও জোটের আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা হয়নি।

যশোর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী বলেন, মহাজোটের কাছে একটাই দাবি যশোর-৪ আসন আমাদের দিতে হবে। জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহুরুল হক জহির দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন। গত ১০ বছর ধরে আমরা এই আসনটি দাবি করছি। আশা করছি, এবার আমরা পাব।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির ১ শ আসনের তালিকায় যশোর-৪ আসন রয়েছে। এটি আমরা পেলে বিজয় লাভ করতে পারব।