ভোটের আগে পুলিশকে যেসব নির্দেশ দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

cec km nurul huda
ফাইল ছবি

নির্বাচনের সময় জনগণ যাতে কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নূরুল হুদা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশে ৩০শে ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরোধীদলের সমালোচনার মুখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই প্রথম পুলিশ বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হলেন।

এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি যেসব নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ বিবিসিকে জানান:

*ভোটকেন্দ্র এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

*তফসিল ঘোষণার পর কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা যাবে না। মামলা করা যাবে না।

*কাউকে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেফতার করা যাবে না।

*সন্ত্রাসীদের তালিকা করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। যাদের কাছে বৈধ অস্ত্র আছে, তারাও নির্বাচনের সময়ে সেগুলো প্রদর্শন করতে পারবে না।

*সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে।

*রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

*নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির স্বার্থে অবৈধ ব্যানার, পোস্টার, তোরণ ইত্যাদি অপসারণ করতে হবে।

*যেসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের পুলিশ দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।

নির্বাচনের আগে, ভোট গ্রহণের দিন এবং ভোটের পরে নিরাপত্তা, এই তিন সময়ের জন্য পুলিশের করণীয় নিয়েই তাদের এসব নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এরই মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছে বিরোধী জোট।

সেখানে সারাদেশে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তালিকা ধরে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে, এমন অভিযোগও এসেছে।

বৈঠকের শুরুতেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

“নির্বাচন যাতে ভণ্ডুল করতে না পারে বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে ব্যাপারে কোন তথ্য থাকলে, তাদের শনাক্ত করে নির্বাচনে যাতে তারা না যেতে পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

কিন্তু ইট ডাজ নট মিন যে, প্রত্যেকটা প্রিজাইডিং পোলিং অফিসারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যদি খোঁজ খবর নেন, তাহলে তারা বিব্রত করে এবং আমরা সেটা চাই না।”

নির্বাচন কমিশন এই মুহূর্তে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে জোর দিয়েছে।

সারাদেশে সন্ত্রাসীদের তালিকা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সন্ত্রাসীরা কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত হলেও তাদের ছাড় দেয়া যাবে না।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে এবং ভোটের পরে তারা যেনো নিরাপদে বসবাস করতে পারে, সেটি বিবেচনায় রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরির জন্যই এসব বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ।