যশোরের খাজুরায় লোকাল বাসের চাপায় ফাহিমা খাতুন নামে সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের খাজুরা ফিলিং ষ্টেশনের সামনে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক বাসের হেলপার নামাতে গেলে সে চলন্ত বাস থেকে পড়ে যায়। এসময় দুই পায়ের উরুর উপর দিয়ে বাসের চাকা উঠে যায়।
আহত স্কুল ছাত্রী বাঘারপাড়া উপজেলার সেকেন্দারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী এবং খাজুরা বাজার বাসস্টান্ডের ডাঃ আব্দুল লতিফের মেয়ে।
প্রতক্ষদর্শী হোসেল ব্যবসায়ী মোশার্রেফ হোসেন বলেন, ওই স্কুল ছাত্রী যশোর-মাগুরা সড়কের লোকাল বাস ঢাকা মেট্রো-ব-৯৬২১ থেকে নামতে না চাইলে জোর পূর্বক বাসের হেলপার চলন্ত অবস্থায় তাকে নামাতে গেলে সে পা পিচলে পড়ে যায়। এসময় মেয়েটির দুই পায়ের উরুর উপর দিয়ে বাসের চাকা উঠে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে ঘাতক বাসটিকে আটক করে উত্তেজিত জনতা বাসের ড্রাইভার মাগুরার শালিখা থানার শতখালী গ্রামের ফয়জুল মোল্যার ছেলে শহিদুল ইসলামকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় বাসের সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী একট্টা হয়ে যশোর-মাগুরা সড়ক ২ ঘন্টা অবরোধ রাখে এবং কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনার যথাযথ বিচার ও রাস্তায় স্পীড ব্রেকার দেওয়ার আশ্বাসে উত্তেজিত এলাকাবাসী সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়। বর্তমানে বাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।