ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিতে কর্মসূচি দেওয়ার যে দাবি উঠেছে তার জন্য সময় চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেছেন, আগে সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। নইলে জনগণকে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সময় চান তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার রচিত দু’টি গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমি মনে করি বিএনপির সামনে বিরাট সুযোগ এই দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার। এটা আওয়ামী লীগ করবে না। গণমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব। আর কাজ করার জন্য বিএনপি প্রস্তুত আছে।’
‘তবে আমাদেরকে একটু সময় দিতে হবে। আমাদের দলের মধ্যে যে দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে পুনর্গঠন শুরু হয়েছে। কারণ, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে না পারলে আমরা জনগণকে নেতৃত্ব দিতে পারবো না।’
বিএনপি সময়ের অপেক্ষা করছে জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ‘সময়ের অপেক্ষা করছি। এদেশের মানুষ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা মানেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আর গণতন্ত্রের মা হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাকে ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দল মত নির্বিশেষে সবার দায়িত্ব হচ্ছে, বেগম জিয়াকে মুক্ত করা।’
মোশাররফ বলেন, ‘গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট ‘ডাকাতি’ একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে সেটাও আরেকটি অস্বাভাবিক ঘটনা। সুতরাং অস্বাভাবিক ঘটনা দিয়ে যেটা শুরু, সেটা বেশি দিন টিকবে না।’
বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘অনেকে মনে করছে বিএনপি পরাজিত হয়েছে। আমি মনে করি, আমরা পরাজিত হইনি। আবার অনেকেই বলেন যে, বিএনপির কর্মীরা হতাশ। আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি, আমাদের নেতাকর্মীরা হতভম্ব, হতাশ নয়।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থ দু’টির লেখক বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী সমর্থকরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কবি আবদুল হাই শিকদার, লেবার পার্টির চেয়ারস্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
