পহেলা বৈশাখ নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা : আইজিপি

বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দেন তিনি।

সোমবার সকালে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা দেন আইজিপি।

সভায় আইজিপি বলেন, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জনগণ যাতে পহেলা বৈশাখ আনন্দ ও উৎসবের সঙ্গে উদযাপন করতে পারে সেজন্য সবাইকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশে জনসমাগমস্থলে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

আইজিপি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ আমরা নিরাপদে উদযাপন করতে পারব।

সভায় রাজধানীর রমনার বটমূল, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিলসহ বৃহৎ জনসমাগমস্থল ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জরুরি উদ্ধার অভিযানের জন্য পুলিশের হেলিকপ্টার নিয়োজিত থাকবে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় শপিং সেন্টার, মার্কেট, বাজার, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নববর্ষের হালখাতা অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেলস্টেশন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালসহ জনসাধারণের চলাচলের স্থানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

বর্ষবরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিক সমন্বয়ের লক্ষ্যে পুলিশ সদর দফতর, সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। রমনা পার্কে ডিএমপি ও র‌্যাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করবে। এছাড়া ডিএমপি ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’র মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান করবে।

সভায় র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. শাহাব উদ্দীন কোরেশী, এনএসআইর পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।