ওয়াসার পানি ফুটাতে ৩৩২ কোটি টাকার জ্বালানি অপচয় হয়; ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এমন তথ্য মনগড়া ও একপেশে বলে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকা ওয়াসা।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে করে এই প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
তাকসিম এ খান অভিযোগ করেন, টিআইবির প্রতিবেদন বিজ্ঞানসম্মত নয় এবং এতে ওয়াসার সাফল্য সঠিকভাবে নিরূপণ করা হয়নি। অনেক মানুষ ওয়াসার পানি না ফুটিয়েই পানি পান করেন। ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়।
গত বুধবার টিআইবি গবেষণা উপস্থাপন করে জানায়, রাজধানীর ৯৩ শতাংশ গ্রাহক ওয়াসার পানি বিভিন্ন পদ্ধতিতে পানের উপযোগী করে। এর মধ্যে ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করে। গৃহস্থালি পর্যায়ে পানি ফুটিয়ে পানের উপযোগী করতে প্রতিবছর আনুমানিক ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাসের অপচয় হয়।
‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলে টিআইবি।
রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
টিআইবির গবেষণা প্রত্যাখ্যান করে তাকসিম এ খান বলেন, ৩৩২ কোটি টাকার অপচয়ের বিষয়ে টিআইবির গবেষণা অনুমান নির্ভর ও বাস্তবতা বিবর্জিত।
গ্যাসের অপচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, টিআইবির গবেষণায় অপচয়ের কথা বলা হয়েছে কিন্তু রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বছরে ৪০০ কোটি টাকা এবং সিস্টেম লস কমানোর মাধ্যমে আরও ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করছে ওয়াসা। বিষয়টি টিআইবির গবেষণায় উল্লেখ করা হয়নি।
তাকসিম এ খানের দাবি পানি ফুটিয়ে নয় শুধু শুধু চুলা জালিয়ে গ্যাসের অপচয় করা হয়।
বিষয়টি টিআইবির গবেষণায় ওয়াসার পানির নিম্ন মান সম্পর্কে তিনি বলেন, এই তথ্য সঠিক নয়। ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়। কোনো ধরনের ল্যাব টেস্ট না করেই টিআইবি এ মন্তব্য করেছে।
তাকসিম এ খান বলেন, তবে মাঝে মধ্যে কিছু পুরোনো সরবরাহ লাইনে দূষণ পানি পাওয়া যায়। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক করা হয়।
তিনি বলেন, টিআইবির গবেষণাপত্রের ফলাফলের প্রচারণার ধরন, কৌশল ও অ্যাপ্রোচ দেখে মনে হচ্ছে যে, মনগড়া তথ্য দিয়ে ঢাকা ওয়াসাকে জনসম্মুখে হেয়প্রতিপন্ন করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। ঢাকা ওয়াসা এই প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।