শপথ নেয়ার পর যা বললেন জাহিদুর

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে একাদশ সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন জাহিদুর রহমান। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

শপথ নেয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।বলেছেন, সংসদে গিয়ে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নেন তিনি।

এরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি শপথ নেয়ার জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি; কিন্তু সম্মতি পাইনি। তারা কোনোভাবেই সম্মতি দেননি। দলের এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত কেউ শপথ নেবে না।

শপথ নেয়ার পর দল তো আপনাকে বহিষ্কার করতে পারে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটি নিতে পারে। বহিষ্কার করতে পারে। সেটি তো জেনেশুনেই শপথ নিয়েছি। দল যদি মনে করে বহিষ্কার করবে, করতে পারে। কিন্তু আমি দলেই আছি। বহিষ্কার করলেও আমি বিএনপিরই একজন নিবেদিত প্রাণ। ছাত্রজীবন থেকে দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে আমি বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি তো বিএনপি থেকে বহিষ্কার হব না।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ জনপ্রতিনিধি জয়ী হন। ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্ট এই নির্বাচনে ফল বর্জন করে। সেই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের কোনো প্রতিনিধি সংসদে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত না মেনে আজ শপথ নিলেন বিএনপির জাহিদ।

জনগণের চাপে শপথ নিয়েছেন দাবি করে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিয়েছি। দল আমাকে বহিষ্কার করতে পারে জেনেও শপথ নিয়েছি। তবে দল বহিষ্কার করলেও আমি দলে আছি।

সংসদে গিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবেন উল্লেখ করে জাহিদ বলেন, আমার নেত্রী ৭৩ বছর বয়সে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে জেল খাটছেন। উনাকে যেন গণতন্ত্রের স্বার্থে মুক্ত করে দেয় সংসদে এ আহ্বানও জানাব। এটিই আমার প্রথম অঙ্গীকার।

‘আমার নেত্রীর মুক্তির জন্য সংসদে যে ভূমিকা রাখা দরকার, সেটি আমি করব। বিশেষ করে আমার এলাকার হাজার হাজার নিরপরাধ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাব’-যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।

স্বাধীনতার পর এই প্রথম বিএনপি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জয় পেয়েছে জানিয়ে জাহিদ বলেন, এর আগেও আমি তিনবার নির্বাচন করেছি। তবে চতুর্থবারে নির্বাচিত হয়েছি। ঠাকুরগাঁও-৩ আসন এর আগে কখনও বিএনপির ছিল না। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসন আওয়ামী লীগের। এই প্রথম আসনটিতে বিএনপি জয়ী হয়েছে।

এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত দুই নেতা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নিয়েছেন। তাদের পথে হাঁটলেন বিএনপির এই নেতাও।