৩ সন্তানসহ নিজেকে উড়িয়ে দেয় লঙ্কান জঙ্গির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী

রাস্তার ওপর তিন তলা প্রাসাদসম বাড়ি। প্রতিবেশীরা ভাবতেন, কলম্বোয় শহরতলির এই বাড়িতে থাকেন কোনো ধনী সেলিব্রিটি। তারাই যে কয়েকদিনের মধ্যে একেবারে অন্য কারণে খবরের শিরোনামে চলে আসবে, সেটা কেউ ভাবতেও পারেননি।

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর মাহাওয়েলা গার্ডেনসের সাদা ওই বাড়িতে যে দুই ভাই থাকত, তারাই ইস্টার সানডের হামলার অন্যতম হোতা। সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে হোটেল এবং গীর্জায় ৩৫৯ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

কলম্বোর শীর্ষ এক ধনকুবের ৩৩ বছর বয়সী ইনসাফ ইব্রাহিম রোববার সাংগ্রি-লা হোটেলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। হামলার পর বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়ার পর গ্রেফতারের ভয়ে আত্মঘাতী বোমারু ইনসাফ আহমেদের স্ত্রী তার গর্ভের সন্তান-সহ নিজেকে ও তিন সন্তানকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়। বিস্ফোরণে আহত হন তিন পুলিশকর্মী।

ইব্রাহিমের বাড়ির ঠিক বিপরীতে থাকা প্রতিবেশী ফাতিমা জানিয়েছেন, তাদের দেখে খুব ভালো মানুষ বলেই মনে হতো। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনা তদন্তে আত্মহত্যা করা দুই সহোদরের বাবা মোহাম্মদ ইব্রাহীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধনী মসলা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের ৬ ছেলে ও ৩ মেয়ে। তাকে যারা চেনেন, সবাই সমীহ করেন।

ফাতিমা নামের ওই প্রতিবেশি বলেন, গরিবদের খাবার ও টাকা দিতেন তিনি। তাই এলাকায় বেশ খ্যাতি ছিল তার। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) ইনসাফের স্ত্রীও যোগ দিয়েছিল বলে দেশটির গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে আইএসের সংবাদমাধ্যম আমাক নিউজ অ্যাজেন্সি শ্রীলঙ্কায় হামলাকারী যে ৯ জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে; সেখানে ছবির ডানদিকে জঙ্গি ইনসাফের পেছনে তার স্ত্রীকেও দেখা যায়।