মহেশপুরে অতিবৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: তলিয়ে গেছে আউশ ও আমন ধান, বিপাকে কৃষক

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে আউশ ও আমন ধানের আবাদ তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৮নং বাঁশবাড়িয়া, ৬নং নেপা, ৭নং কাজিরবেড়, ৪নং স্বরূপপুর এবং ৫নং শ্যামকুড় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ফসলি মাঠ পানির নিচে চলে গেছে। এতে কৃষকদের বছরের পর বছর ধরে করা পরিশ্রম ও বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে পড়েছে।

বিশেষ করে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাসান পোতা, পাবনা পাড়া, শ্রীপুর, বালিনগর, কুল্লাপাড়া, চুন্নির আইট এবং ভাবদিয়া গ্রামের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমের মাঠগুলো ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। নেপা ইউনিয়নের আমিন নগর, বাকোসপোতা, বাউলি মাঠপাড়া, মোহাম্মদপুর গ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব মাঠের রোপনকৃত ধানও পানির নিচে তলিয়ে আছে।

একইভাবে কাজীরবেড় ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, ইসলামপুর ও কোলা গ্রামের পূর্ব ও উত্তরের মাঠে আউশ ও আমন ধান সম্পূর্ণভাবে পানির নিচে চলে গেছে।

এছাড়া, স্বরূপপুর ইউনিয়নের হানেফপুর গ্রামে পানি নিষ্কাশনের অব্যবস্থার কারণে বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দী হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে।

ভুক্তভোগী কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছরই তাদের এমন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

বাঁশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বড় বিল থেকে প্রবাহিত পানি বাঁশবাড়িয়া ইউপির খালগুলোতে প্রবেশ করে, কিন্তু খাল এবং কোদলা নদীর গভীরতা কম হওয়ায় পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

এছাড়াও, শ্রীপুর গ্রামের কিছু মাছ চাষী পুকুর খনন করলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রাখায় তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।