যশোর আদালতে হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার মামলা ভিন্নখাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মামলার বাদী যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল।
রবিবার প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন তার পদের প্রভাব খাটিয়ে মামলাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টার করছেন। একই সাথে তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রাণি করার পাশাপাশি মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ ২০১৮ ও২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি আপত্তিকরভাবে উপস্থাপন করে। একাধিকবার এসময় ঘটনা ঘটানোর কারণে গত ১৪ জানুয়ারি আমি যশোর আদালতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের মানহানির অভিযোগে যশোর আদালতে ৫০০ কোটি টাকার একটি মামলা করেছিলাম। একই দিন আমার বিরুদ্ধে আপত্তিকর তথ্য সরবরাহ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ইকবাল কবির জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের আরো একটি মানহানির মামলা করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, মামলা দুইটির এখনো কোন অগ্রগতি হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা এখনো পর্যন্ত মামলার বাদী হিসেবে আমার সাথে নূন্যতম কোন যোগাযোগ করেননি। উল্টো মামলা দুটি এখন ভিন্ন খাতে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে।
আনোয়ার হোসেন বিপুলের অভিযোগ, এই মামলা ভিন্নখাতে নিতে পরিকল্পিতভাবে যবিপ্রবিতে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননাসহ ছাত্রদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ইস্যুতে আন্দোলন করায় গত ২০ এপ্রিল ৩ জনকে আজীবনসহ ছাত্রলীগের ৮ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে প্রশাসন। আর মামলা করার কারণে আমাকেও নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সর্বশেষ আমার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এছাড়া ভিসি নিজে বিভিন্ন ছাত্রাবাসে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করতে চাপ দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিপুল দাবি করেন, মামলার বাদী হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তা একবারের জন্য আমার সাথে যোগাযোগ না করলেও, অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ফলে আমি আশঙ্কা করছি, স্বপদে বহাল থেকে মামলা দুইটির তদন্ত কাজ মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছেন ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে যশোর পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি, যুগ্ম-আহ্বায়ক রেজওয়ান হোসেন মিথুন, সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মারুফ হুসাইন ইকবাল, সরকারি এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আসলাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত তরুণ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আরিফুর রহমান সাগর, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোমেল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।