শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার পর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
এমনই এক অভিযানে দুই ছেলেসহ এক বাবা নিহত হয়েছেন।
রোববার কলম্বোর পুলিশ দাবি করেছে, গত শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিনই শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে ১৫ জন নিহত হন।
সেনাবাহিনীর দাবি, নিহতরা সবাই গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডেতে কলম্বোর গির্জা ও অভিজাত হোটেলসহ আটটি স্থানে আত্মঘাতী হামলার সঙ্গে জড়িত।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ওই হামলায় ২৫৯ জন নিহত ও ৫ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
নিহতের স্বজন ও পুলিশের সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, নিহত বাবা এবং দুই ছেলেও ইস্টার সানডে হামলার মূলহোতা। বাড়িতে অভিযান চালাতে গেলে তাদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিওতে জেইনি হাশিম, রিলওয়ান হাশিম এবং তাদের বাবা মোহাম্মদ হাশিমকে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ডাক দিতে দেখা গেছে।
ইস্টার সানডে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জাহরান হাশিমের শ্যালক নিয়াজ শরিফ রয়টার্সকে বলেন, ভিডিওতে জাহরান হাশিমের দুই ভাই এবং বাবাই রয়েছেন। বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়েছেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, ইস্টার সানডেতে উগ্রপন্থী ধর্মপ্রচারক জাহরান হাশিম কলোম্বোর সাংরি-লা হোটেলে আত্মঘাতী হামলা চালান। সেদিনই তার মৃত্যু হয়।
হামলার পর থেকেই শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনী হাই এলার্ট জারি করেছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ১০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা হামলার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় দুটি সংগঠনের সদস্যদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ দাবি করেছে, হামলার সঙ্গে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শতাধিক লোককে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন।
এদিকে, রোববার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা তার বিশেষ ক্ষমতাবলে হামলার সঙ্গে জড়িত বলে নাম আসা ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে) ও জামাতি মিল্লাতু ইব্রাহীমকে (জেএমআই) দেশটিতে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।