ফেসবুককে দোষারোপ করলেন শেখ সেলিম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, সব অপকর্মের হোতা হচ্ছে ফেসবুক। আজকে ডিজিটাল করতে গিয়ে যে কী ক্ষতি হয়েছে, এরা এদেরকে উসকানি দেয়। এই জায়ান হত্যার পরেও এমন সব স্ট্যাটাস তারা দিয়েছে আমি এখানে বলতে চাই না। এ সময় তিনি ধর্ষণের অপরাধ স্বীকারকারীদের ফায়ারিং স্কোয়াডে বিচার চেয়েছেন।

সোমবার জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় তোফায়েল আহমেদের আনা প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, পৃথিবীতে যে হানাহানি হচ্ছে, এই যে জঙ্গিবাদ। ধর্মের নামে যে সন্ত্রাস। সব ধর্মকে আজ বিতর্কিত করে দিচ্ছে। তারা কী পাচ্ছে? মানবতা কোথায়? ধর্মের নামে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আমাদের এখানে বিতাড়িত করেছে। এই রাষ্ট্র কী আমরা চেয়েছিলাম? এই পৃথিবী কী আমরা চেয়েছিলাম?

তিনি বলেন, কিসের ইসলামিক স্টেট? এটা কি কোরআন শরিফে আছে যে, সারা পৃথিবীতে একটা স্টেট হবে? ধর্মের নামে এরা কথা বলে। যারা আহত হয় ইসরাইল তাদের সেবা-শুশ্রূষা করে। এই পৃথিবীতে এটা হতে পারে না। এখন সময় এসেছে এর বিরুদ্ধে গোটা পৃথিবীকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, যারা মানবতাবাদী নেতা, যারা মানবতায় বিশ্বাস করে, যারা মানবকল্যাণে বিশ্বাস করে সব শক্তিকে। আর কিছু কিছু রাষ্ট্র তো এদের ইন্ধন দিয়ে যায়।
সেলিম বলেন, এই জঙ্গিবাদ, এই সন্ত্রাস বাংলাদেশকে গ্রাস করে ফেলেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে। শেখ হাসিনাকে ১৮ বার হত্যার চেষ্টা করা হলো। এই বাংলা ভাই, শায়েখ আবদুর রহমান এদের পৃষ্ঠপোষকতা করল একটি রাজনৈতিক দল।

তিনি বলেন, নুসরাতকে কীভাবে হত্যা করা হলো? এরা কি মানুষ? এরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। এটার জন্য কঠিন আইন মানে কী? ১০ দিন, ১৫ দিন বা ১ মাসের মধ্যে এদের ফায়ারিং স্কোয়াডে দিয়ে এদের গুলি করে হত্যা করা উচিত। এই ধরনের আইন করা উচিত। স্বীকার যখন করেছে তখন আর কোর্টে যাওয়ার কোনো দরকার নেই।

সেলিম বলেন, এই সব অপকর্মের হোতা হচ্ছে ফেসবুক। আজকে ডিজিটাল করতে গিয়ে যে কী ক্ষতি হয়েছে এরা এদের উসকানি দেয়। এই জায়ান হত্যার পরেও এমন সব স্ট্যাটাস তারা দিয়েছে আমি এখানে বলতে চাই না। আমি আমার ডিজিটাল মন্ত্রণালয়কে বলি দেখেন কী সব আজেবাজে কথা বলছে। এরা মানুষ না, এরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। এরা সব কিছু করতে পারে।

তিনি বলেন, এই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এই অমানবিক ব্যাপারে আমাদের বোধহয় আরেকটা নতুন কঠোর আইন করা উচিত। যে আইনে তদন্ত বেশিদিন চলবে না। এক মাসের ভেতর সব কিছুকে ফায়সালা করে তাদের বিচার করা হবে। শাস্তি দেওয়া হবে। বাংলাদেশ আমরা শান্তির বাংলাদেশ চাই। বিশ্ব বিবেককে বলি, আগে অস্ত্র নিয়ে খেলেছো, এখন জঙ্গি আর সন্ত্রাসী নিয়ে পৃথিবীতে খেল না। মানুষ যাতে ধ্বংস হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে মানবজাতি পৃথিবীতে আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।

এ সময় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জায়ান চৌধুরীর বাবা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে সে জন্য দোয়া কামনা করেন তিনি।

সেলিম বলেন, আপনারা দোয়া করবেন আমার মেয়ে যেন এই ব্যথা থেকে উঠতে পারে। সে কথা বলতে পারে না। তাকে শক্তি যেন আল্লাহ দেন। আপনাদের দোয়া এবং আশীর্বাদ নিয়ে যেন আমার মেয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।