যশোরে কৈশর বান্ধব সেবা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান

jessore map

‘দেশের মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের একভাগ কিশোর-কিশোরী। কিন্তু তারা এখন ভালো নেই। মা একটি মুঠোফোনে বাবা একটি মুঠোফোন ও সে নিজে আরেকটি মুঠোফোনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। পরিবারের বন্ধন কমে যাচ্ছে। এতে তাদের বেশির ভাগ নেশাগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। একটি ভুল সিদ্ধান্তে এইচআইভি-এইডস্ এর মত মরণ ব্যাধিতেও আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির (এফপিএবি) জাতীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে কৈশর বান্ধব সেবা বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও যুবা-কিশোরদের সাথে আলোচনা সভায় সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার যশোর শহরের জাবির হোসেন ইন্টারন্যাশনাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সিভিল সার্জন বলেন, ‘বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর এইচআইভি-এইডস বিষয়ে এখন আর তেমন কাজ করছে না। গত বছর যশোর জেলায় মাত্র সাতজন এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগি সনাক্ত হয়। কিন্তু এ বছর এখনো একজনও সনাক্ত হয়নি। এর অর্থ আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে এমন না। মূলত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ কমেছে। রোগিদেরও এই পরীক্ষা করানোর বিষয়েও অনিহা রয়েছে। যা সমাজের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত। এতে সভাপতত্বি করেন এফপিএবি’র নির্বাহী পরিচালক চিকিৎসক এএফএম মতিউর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের জেষ্ঠ্য পরামর্শক অলোক কুমার সরকার, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান, যশোর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম আবদুল খালেক প্রমুখ। সকালে প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এফপিএবির যশোর শাখার সভাপতি সুরাইয়া বেগম।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া তরুনেরা বলেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ে কৈশরের বয়ঃসন্ধিকালীন বিষয়ে একটি করে অধ্যায় রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ বিদ্যালয়ে এই অধ্যায়টি শিক্ষকেরা পড়াতে চান না। পরীক্ষায়ও এই অধ্যায় থেকে কোন প্রশ্ন আসে না। যে কারণে কৈশর বয়সের মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে কিশোর-কিশোরীদের অজানা থেকে যাচ্ছে। এতে কিশোরেরা বিপদগামী হচ্ছে।’ বয়ঃসন্ধিকালীন অধ্যায়টি বিদ্যালয়ে গুরুত্ব দিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে। এই অধ্যায় থেকে পরীক্ষায় প্রশ্নও করার জন্যে তারা সুপারিশ করেন।