ফাইনালে যেতে ২৪৮ রান চাই টাইগারদের

দুই ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে ফাইনালে উঠে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে না গেলে হয়তো সেদিনই বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেতো। যাই হোক আজ বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবার হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনাল নিশ্চিত করার। সেজন্য টাইগারদের সামনে ২৪৮ রানের লক্ষ্য রেখেছে ক্যারিবীয়রা।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান সংগ্রহ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন শাই হোপ। দীর্ঘ ৩ ম্যাচ পর বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন অংকের ঘরে না গিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। অধিনায়ক জেসন হোল্ডার করেছেন ৬২ রান। এই দুইজনের ব্যাটেই মূলত মোটামুটি লড়াইর পুঁজি পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এদিন শুরু থেকেই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ওপর শাসন প্রতিষ্ঠা করে মাশরাফি বিন মর্তুজা বাহিনী। বোলিংয়ে সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন সাকিব আল হাসান। ১০ ওভার বল করে ২.৭০ ইকোনোমিতে দিয়েছেন ২৭ রান। নিয়েছেন ১ উইকেট।

এদিন দেখা গেল পুরনো মোস্তাফিজুর রহমানকে। ৯ ওভার বল করে ৪ উইকেট নিয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন কাটার মাস্টার। রানেও ছিলেন মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত। ৪.৭৭ ইকোনোমিতে তিনি দিয়েছেন ৪৩ রান। রান তুলানামূলক কিছুটা বেশি দিলেও দারুণ ভেল্কি দেখিয়েছেন মাশরাফি। শাই হোপ ও জেসন হোল্ডারকে আউট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে দেন তিনি। এছাড়া নিয়েছেন ওপেনার সুনিল আমব্রিসের উইকেটও। এক উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে অভিষিক্ত আবু জায়েদ রাহী কোন উইকেট নিতে পারেননি।

ক্যারিবীয়রা তাদের প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৩৭ রানে। ওপেনার সুনিল আমব্রিসকে সৌম্য সরাকারের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান মাশরাফি। এরপর দলীয় ৯৯ রানে আরো তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন হোপ ও হোল্ডার। দুইজন মিলে ১০০ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেন।

তখনই আঘাত হানেন মাশরাফি। পর পর দুই ওভারে দুইজনকে বিদায় করে লাগাম টেনে ধরেন প্রতিপক্ষের। এরপর আর টেল এন্ডাররা বড় কিছু করতে পারেনি।