‘যুক্তরাষ্ট্র ও একটি ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের নির্দেশেই সৌদি আরব ইরানের বিরুদ্ধে নেমেছে’

ইরানের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদীদের সহযোগী হিসেবে যোগ দিয়েছে সৌদি আরব। জিসিসি সম্মেলনে সৌদি বাদশাহ সালমানের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এ জবাব দিলো ইরান। বৃহস্পতিবার জিসিসি সম্মেলনে সৌদি বাদশাহ তেহরানের ‘সন্ত্রাসবাদী’ কার্যক্রম দমনে আরব রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহবান করেন। এতে সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে সৌদি বাদশাহ নিজ স্বার্থ রক্ষার ঘোষণা দেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছে তেহরান। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

এর আগে, মক্কায় ইরানকে মোকাবেলায় আরব রাষ্ট্র প্রধানদের নিয়ে জরুরি সম্মেলন ডাকেন বাদশাহ সালমান। জিসিসির এই জরুরি সভায় ইরানকে কঠিন ভাষায় আঘাত করেছেন কিং সালমান আব্দুল আজিজ। পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা ও ইরানের ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎপাদন মধ্যপ্রাচ্যসহ সমগ্র বিশ্বে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত অন্যান্য আরব রাষ্ট্র প্রধানদের ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান কিং সালমান। এর জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেন, আমরা দেখতে পাই যুক্তরাষ্ট্র ও একটি ইহুদিবাদি রাষ্ট্রের নির্দেশে সৌদি আরব ইরানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ প্রচারণায় নেমেছে। এসময় তিনি বাদশাহ সালমানের তোলা ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ নাকোচ করে দেন। শুক্রবার তার এ বক্তব্য প্রচার করেছে বার্তা সংস্থা ইরনা।

ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক জেইন বাসরাভি বলেন, ইরান মনে করে জিসিসি সম্মেলনে অংশ নেয়া সব আরব রাষ্ট্র সৌদি বাদশাহর সঙ্গে একমত হবে না। সৌদি আরবের সভায় ইরানের বিরুদ্ধে তোলা সকল অভিযোগও অস্বীকার করেছেন আব্বাস মুসাভি। বাসরাভি সেখানে ইরানী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ইরানী নেতারা বলেন, সৌদি আরব ওআইসির আয়োজশ হয়ে এ ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। একইসঙ্গে মুসলিম নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটি।