দাম বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটের

নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাজেট পাস হলে বিড়ি-সিগারেটসহ তামাক পণ্যের দাম বাড়বে।

আজ বৃহস্পতিবার ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ এই সামনে রেখে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হলো ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট। বিকেল সোয়া ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তব্য শুরু করেন। তবে তিনি অসুস্থবোধ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট উপস্থাপন করেন।

এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৭ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা এবং ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৭ টাকা ও ৪০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিড়ি-সিগারেটের মতো ভয়াবহ আরেকটি পণ্য জর্দা ও গুল। এগুলোর ব্যবহার সরাসরি হওয়ায় শরীরের ওপর এর বিরূপ প্রভাবও বেশি। এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা এবং ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের জন্য বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।