আজীবন ক্ষমতায় থাকার শখ ট্রাম্পের

সংবিধান সংশোধন করে নিজের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকবেন তিনি।

এজন্য বেইজিং সফরে গিয়ে তাকে একবার ‘চীনের রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কিন্তু তিনি নিজেও আরও এক মেয়াদে নয়। জিনপিংয়ের মতোই আজীবন ক্ষমতায় থাকার সুপ্ত বাসনা পোষণ করেন।

মাঝে মাঝেই আকারে-ইঙ্গিতে সেটা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে শুক্রবার এক টুইটার বার্তায় অনেকটা কৌতুকের ছলে ফের নিজের সেই শখের কথা জানালেন।

সাংবিধানিক শর্ত একবার বা দুবার নয়, সারা জীবনের জন্য হোয়াইট হাউসে থেকে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি। খবর এএফপির।

ট্রাম্প নিজের মুখেই বলেছেন, ২০১৭ সালে বেইজিং সফরে গিয়ে তিনি জিনপিংকে ‘চীনের রাজা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।

আর সেই সম্বোধনে বেশ আনন্দিত হয়েছিলেন একদলীয় শাসনাধীন চীনের সর্বময় কর্তা। যদিও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি।

ট্রাম্পের কথায়, ‘আমি রাজা হিসেবে সম্বোধন করায় জিনপিং প্রথমে বলেছিলেন, ‘আমি তো রাজা নই, আমি প্রেসিডেন্ট।’ তখন আমি বলেছিলাম, আপনি হলেন আজীবন প্রেসিডেন্ট, তাই আপনাকে রাজা বলা যেতেই পারে। এর জবাবে মৃদু হেসে তিনি ‘হুঁ’ বলেন।

পরের বছর ফ্লোরিডা রাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির জন্য অর্থদাতাদের সাথে এক বৈঠক করার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট যে নিজেকে আজীবন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করতে পেরেছেন এটা একটা দারুণ ব্যাপার।

এ কথার পর ট্রাম্প যোগ করেন, হয়তো আমরাও একদিন এরকম কিছু একটা করার চেষ্টা করব। সে সময় ট্রাম্পের এই মন্তব্য প্রচার করে সিএনএন। সিএনএন জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন কিছু মন্তব্যের রেকর্ডিং তাদের হাতে রয়েছে।

পরে ট্রাম্পের এই উক্তির রেকর্ডিংটি প্রচারও করে সিএনএন। সেখানে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদেরও হয়তো একদিন এরকম কিছু করতে হবে।’ ট্রাম্প একথা বলার পর তুমুল হাসির রোল এবং করতালির শব্দ শোনা যায়।

এবার আর মন্তব্য নয় টুইটারে মেমে প্রকাশ করে মার্কিনিদের নিজের মনোবাসনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। মেমেটি গত বছরের টাইম ম্যাগাজিনের কাভারের ওপর গ্রাফিক্সের কাজ করে তৈরি করা।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য পোস্টার হিসেবে এটা প্রকাশ করা হয়েছে। যার মেয়াদ ২০২০ সাল থেকে নয় বরং শুরু হয়েছে ২০২৪ সাল থেকে।

এরপর প্রতি চার বছর পরপর ধারাবাহিকভাবে এটা এগিয়ে গেছে। ২০৪৮ সালে গিয়ে পোস্টারের ওপরের দিকে ডায়াসের সামনে দাঁড়ানো ট্রাম্পের একটি অ্যানিমেশন ছবি মুচকি হাসছে।

কিন্তু তারপরই প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার মেয়াদের ব্যাপারটা দ্রুতই বদলাতে থাকে। প্রথমে চার বছর অন্তর অন্তর মেয়াদ বদলালেও পরে সেটা শতক ও হাজারের সংখ্যায় বদলায়। ৯ হাজার সংখ্যায় হঠাৎ ভেসে ওঠে ‘ট্রাম্প ফরএভার’ অর্থাৎ ‘চিরতরে ট্রাম্প’।