আবারও আলিম দার, এবার শিকার লিটন

ম্যাচের পঞ্চম ওভারে মুজিবের বলে ড্রাইভ করেন লিটন দাস। শর্ট কভারে থাকা হাসমতউল্লাহ শহিদি তা লুফে নিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। ফিল্ড আম্পায়াররা নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ করেন। থার্ড আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তার আগে ফিল্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন এটি আউট! আজ ফিল্ড আম্পায়ারিং করছেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলবার্গ ও মাইকেল গফ।

রিপ্লেতে বারবার দেখানো হয় সে ক্যাচটি। পরিষ্কার দেখা যায়, ফিল্ডার শহিদির হাত থেকে বলটি মাটিতে পড়ে যায়। পরে তা উঠিয়ে নেন তিনি। খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করেন তিনি। যা রিপ্লেতে পরিষ্কার ধরা পড়ে।

থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন পাকিস্তানের আলিম দার। তিনি এসব রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন! আবারও আলিম দারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হলো বাংলাদেশ।

১৭ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন লিটন দাস। সৌম্য সরকারের পরিবর্তে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন তিনি। শুরু থেকেই আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। অথচ আলিম দারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হলেন তিনি।

গতকাল লর্ডসে পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামানের এমন একটি ক্যাচ ধরেন বাউন্ডারিতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির। ফখর জামানের ক্যাচটি তালুবন্দি করে উল্লাসে ফেটে পড়েন ইমরান তাহির। তখনো কোনো উইকেট পড়েনি পাকিস্তানের। প্রথম উইকেটের পতন মনে করে উল্লাসটা ভালোই ছিল তাহিরের। কিন্তু তাতে বাঁধ সাধেন ফিল্ড আম্পায়াররা! বল মাটি স্পর্শ করেছে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না আম্পায়াররা। পরে তাঁরা থার্ড আম্পায়ারের সাহায্য নেন। রিপ্লেতে থার্ড আম্পায়ার দেখতে পান, বলটি মাটি স্পর্শ করে। এর পরই ক্যাচ নেন ইমরান তাহির। থার্ড আম্পায়ার ‘নট আউট’ সিদ্ধান্ত দিলে জীবন পান ফখর জামান।

আজ একই রকমের ঘটনা ঘটল। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার ও থার্ড আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত গেল বাংলাদেশের বিপক্ষে।