ওয়ারীর শিশুকে হত্যার আগে ‘ধর্ষণ’, আটক ছয়

পুরান ঢাকার ওয়ারীতে বহুতল ভবনের ফাঁকা ফ্ল্যাটে হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে ময়নাতদন্তে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ছয় জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর শনিবার সকালে তার ময়নাতদন্ত হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘মেয়েটিতে ধর্ষণ করা হয় এবং এরপর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।’

‘শিশুটির গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’

সোহেল মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট হতে হাই ভেজেনালসপর জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সকল নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এসব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিশুটির মৃত্যু কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

আগের রাতে ওয়ারীর বনগ্রামে বহুতল একটি ভবনের নয় তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটে সাত বছর বয়সী শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় শিশুটি পরিবারের সঙ্গে থাকত। শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ওই মেয়েটি একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়ত।

ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটি তার মাকে বলেছিল, উপরের ফ্ল্যাটের যাচ্ছে খেলতে। সে প্রতিদিন বিকালে নিচে ও ভবনের উপরের ফ্ল্যাটে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে যেত। কিন্তু এদিন গিয়ে আর ফিরে আসেনি।

অনেক খোঁজাখুঁজির পরে নবম তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে গলায় রশি দিয়ে মুখ বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় পরিবার। শিশুটির মুখে রক্ত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে।

বাবার মামলা, আটক ছয়

এই ঘটনায় শনিবার সকালে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।

ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মাদ সামসুজ্জামান জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।’