যশোরে ১২ লাখ টাকার ‘পালসার বাবু’

প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ ভিড় করছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামের ইয়াহিয়া মোল্লার বাড়িতে। গরুটি ‘হলেস্টিয়ান’ জাতের। নাম দেওয়া হয়েছে পালসাল বাবু। ইয়াহিয়ার নাতি ছেলে জিসান বাবুর নামে সাথে মিলে রেখে এ নাম রাখা হয়েছে। পালসার বাবুর দৈর্ঘ সাড়ে ১০ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট, গায়ের রং কালছে। ওজন প্রায় ১৪ শত কেজি বলেন জানান গরুর মালিক ইয়াহিয়া। তিনি ষাঁড়টির দাম হেঁকেছেন ১২ লাখ টাকা। ‘পালসার বাবু’- কে দেখার জন্য ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।

মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘পালসার বাবু’ নামেই ষাঁড়টিকে ডাকেন সবাই। সে আমার ভাষা বোঝে। উঠতে বললে উঠে দাডাঁয়, সামনে, পিছনে সরতে বললে সে সরে দাডাঁয়। সে আমার কথা শোনে।

জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামের ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ী ইয়াহিয়া মোল্যা। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম শখ করে ষাঁড়টি পুষছেন। তিন বছর ধরে পোষা পশুটিকে এবারের কোরবানিতে বিক্রি করতে চান।

লোকমুখে ‘পালসার বাবু’র কথা শুনে ষাঁড়টিকে দেখতে ইয়াহিয়ার বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। স্থানীয়রা তো বটেই, বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘পালসার বাবু’- কে দেখার জন্য ভিড় করছেন মানুষ।
‘পালসার বাবু’- কে দেখতে আসা মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা গ্রামের মান্নান বলেন, লোকের মুখে শুনে আইছি। এতবড় গরু জীবনে এই প্রথম দেখলাম।

ইয়াহিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত দশ দিন ধরে মানুষের ভিড় বেড়েছে। সকাল-বিকেল উঠোনে লোক ভরে যায়।

ইয়াহিয়া বলেন, আমি ছোটখাটো ব্যবসায়ী। বছর তিনেক আগে ‘হলেস্টিয়ান’ জাতের এই গরুটা কেনা। শখ করে ওর নাম দিয়েছি ‘পালসার বাবু’। গত বছর এর দাম সাড়ে পাঁচ লাখ উঠলেও বিক্রি করিনি। কিছুদিন আগে ঢাকার এক ক্রেতা ১০ লাখ দাম বলেছে। তবে আমি চাচ্ছি ১২ লাখ টাকা।

ইয়াহিয়া জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো পরামর্শ ছাড়াই এটি আমি লালনপালন করছি। ছয় কাঠা জমিতে ঘাস লাগানো আছে। সেই ঘাস, খৈল ও ভুষি খাইয়ে একে এত বড় করেছি।

তিনি বলেন, কোন প্রকার ঔষুধ গরুকে খাওয়া না। কারণ ঔষুধ খাওয়ালে গরম সহ্য করতে পারে না। আর আমি গরিব মানুষ। গোয়াল ঘরে ফ্যান নাই, মশারি নাই যদি গরুটি কোন সমস্যায় হয় এ ভয়ে মোটাজাতা করণের জন্য কোন ঔষুধ খাওয়ায় না।

এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী বলেন, কাশিমনগর ইউনিয়নে একটা বড় গরু আছে শুনেছি।