ওর বয়স হয়েছে, বুঝতে হবে জাতীয় সংগীতের মর্ম কী : সামিনা

ভারতের জনপ্রিয় গানের রিয়্যালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র দ্বিতীয় রানারআপ নোবেল ফলাফল ঘোষণার আগে থেকেই দুই বাংলায় তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এবার নিজ দেশ বাংলাদেশের ‘জাতীয় সংগীত’ নিয়ে তাঁর মন্তব্যে উঠল সমালোচনার ঝড়।

এক সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’কে ‘কটাক্ষ’ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ নয়, গীতিকার-সুরকার প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানটিই বাংলাদেশকে অনেক বেশি করে চিনিয়ে দেয় বলে মত নোবেলের।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি এয়ারপোর্ট থেকে বের হলাম। দেশে আসলাম। আমি এখনো বাসায় যাইনি। বাসায় ফিরতেছি। আসলে এরা বাচ্চা ছেলে, এরা কী বলে না বলে! এদের কথা শুনিও না। এদের কথা যত বেশি শুনবা, তত বেশি ইম্পোরট্যান্স (গুরুত্ব) দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ‘ও বেচারা বুঝতে পারেনি যে ও কী বলতে কী বলে ফেলল।’

সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘ও (নোবেল) আর কি বুঝতে পারে নাই যে জিনিসটা এত সিরিয়াস একটা ইস্যু হবে, আমার যেটা দেখে মনে হইছে। আমি আসলে ক্লিপটা ভালো করে দেখিনি। আমি দেখি, তারপর কমেন্ট করতে পারব। না জেনে কমেন্ট করা যাবে না। তবে দেশের জাতীয় সংগীতকে নিয়ে কোনোভাবেই কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। আসলে সবার আগে নিজের দেশের জাতীয় সংগীতকে ভালোবাসতে হবে। সে যেমনই হোক। এটা হচ্ছে প্রথম কথা। এই জিনিসটা ওর বোঝা উচিত ছিল। এটা একটা ভুল হইছে মস্তবড়। জাতীয় সংগীত শুনলেই আমার কান্না পায়। আমি তো গাইতেই পারি না গানটা। গাইতে গেলেই আমার কান্না আসে। তো, ও বেচারা বুঝতে পারেনি যে ও কী বলতে কী বলে ফেলল। আমার মনে হচ্ছে তাই, ওর চেহারাটা দেখে আমার মনে হচ্ছে। ওর তো বয়স হয়েছে, ওর তো বুঝতে হবে জাতীয় সংগীত কী, এর মর্ম কী, এটা ওকে বুঝতে হবে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে নোবেলকে বলতে শোনা যায়, “প্রিন্স মাহমুদ স্যারের যে ‘বাংলাদেশ’ গানটা, আমি একটা কথা বলব এইটা নিয়ে। কেউ হয়তো খারাপ মনে করতে পারে, বাট আমার পারসোনাল অপিনিয়ন এইটা। আমি মনে করি, আমাদের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ আমাদের দেশটাকে যতটা এক্সপ্লেইন করে, তার থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশি এক্সপ্লেইন করে কিন্তু প্রিন্স মাহমুদ স্যারের লেখা এই গানটা। আমাদের জাতীয় সংগীত যেটা আছে, সেটা হয়তো রূপক অর্থে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়, বাট এইটা (প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানটি) কিন্তু আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আবেগের জায়গা সবকিছু কিন্তু প্রোপারলি আমাদের কাছে তুলে ধরে।”

শুধু বাংলাদেশেই নয়, নোবেলের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলকাতার কয়েকজন সংগীতশিল্পীও।