নোবেল বিতর্কে মুখ খুললেন প্রিন্স মাহমুদ

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে তরুণ কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে মুখ খুললেন জনপ্রিয় গীতিকার-সুরকার প্রিন্স মাহমুদ।

কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত একটি ভিডিওতে নোবেলকে বলতে শোনা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ নয়, গীতিকার-সুরকার প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানটিই বাংলাদেশকে অনেক বেশি করে চিনিয়ে দেয়।

ভারতের জনপ্রিয় গানের রিয়্যালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র দ্বিতীয় রানার আপ নোবেল ফলাফল ঘোষণার আগে থেকেই দুই বাংলায় তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও ক্লিপে নোবেল দাবি করেন, প্রিন্স মাহমুদের ‘বাংলাদেশ’ গানকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করার দাবিতে একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলও হয়েছিল।

আজ রোববার নোবেলের মন্তব্য প্রসঙ্গে মত জানতে চাইলে এই প্রতিবেদককে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘এখন কোনো কমেন্ট হবে না। আমি ফেসবুকে যা লিখে দেওয়ার, দিয়ে দিয়েছি। আমি কোনো কথার মধ্যে নাই, বুঝেছ? তুমি আমাকে কোনো ঝামেলার মধ্যে ফেলো না। ফেসবুকে যা লেখার লিখে দিয়েছি। ওটা লিখে দাও। ফেসবুকে ঢোকো।’

প্রিন্স মাহমুদের ফেসবুক ওয়ালে দেখা যায়, এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বিশিষ্ট এ গীতিকার। আজ রোববার এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জাতীয় সংগীত আমাদের অস্তিত্বের নাম।’

এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে নোবেলকে বলতে শোনা যায়, “প্রিন্স মাহমুদ স্যারের যে ‘বাংলাদেশ’ গানটা, আমি একটা কথা বলব এটা নিয়ে। কেউ হয়তো খারাপ মনে করতে পারে, বাট আমার পারসোনাল অপিনিয়ন এইটা। আমি মনে করি, আমাদের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ আমাদের দেশটাকে যতটা এক্সপ্লেইন করে, তার থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশি এক্সপ্লেইন করে কিন্তু প্রিন্স মাহমুদ স্যারের লেখা এই গানটা। আমাদের জাতীয় সংগীত যেটা আছে, সেটা হয়তো রূপক অর্থে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়, বাট এইটা (প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানটি) কিন্তু আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আবেগের জায়গা সবকিছু কিন্তু প্রোপারলি আমাদের কাছে তুলে ধরে।”

ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অন্তর্জালে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। অন্তর্জালে অনেকে অভিযোগ করেন, জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’কে ‘কটাক্ষ’ করেছেন নোবেল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের কয়েকজন সংগীতশিল্পীও।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘দেশের জাতীয় সংগীতকে নিয়ে কোনোভাবেই কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। আসলে সবার আগে নিজের দেশের জাতীয় সংগীতকে ভালোবাসতে হবে। সে যেমনই হোক। এটা হচ্ছে প্রথম কথা। এই জিনিসটা ওর (নোবেল) বোঝা উচিত ছিল। এটা একটা ভুল হইছে মস্তবড়। জাতীয় সংগীত শুনলেই আমার কান্না পায়। আমি তো গাইতেই পারি না গানটা। গাইতে গেলেই আমার কান্না আসে।’