দাপ্তরিক কাজ ছাড়াও উপজেলার উন্নয়নে নানামুখি তৎপরতার পাশাপাশি শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন মণিরামপুরের তরুণ ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা খাতে নানামুখি প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে তৎপর হয়ে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছেন তিনি। অফিস আওয়ারতো থাকলোই ছুটির দিনগুলোতে অবসর না নিয়ে তিনি ছুটে চলেন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। হাতে নেন চক ডাস্টার। বনে যান শিক্ষকের ভূমিকায়। আবার উপজেলার সর্বচ্চো কর্মকর্তার সান্নিধ্য পেয়ে উৎফুল্ল হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। কাজে উৎসাহ ফিরে আসে শিক্ষকদের।
তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মণিরামপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মণিরামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান ইউএনও। এসময় তিনি চক ডাস্টার হাতে নিয়ে রীতিমত শিক্ষক বনে যান। বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া শুরু করেন। শোনেন শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যার কথা। একই সাথে উঠে আসা সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের।
মণিরামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা খাতুন জানান, ইউএনও স্যারকে শিক্ষক হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তিনি আমাদের লেখাপড়া শিখে বড় হওয়ার উৎসাহ দিয়েছেন। আমাদের নানা সমস্যার কথা শুনে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। স্যারের উৎসাহ আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক জিএম ফারুক আলম বলেন, ইউএনও স্যার আকস্মিক স্কুলে এসে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। লেখাপড়ার খোঁজখবর নিয়েছেন। এরপর শিক্ষকদের সাথে স্কুলের নান বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেছেন। ইউএনওর এই ধরণের উদ্যোগে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হবেন বলে মনে করেন এই শিক্ষক।
এদিকে পাবলিক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে পরীক্ষা কেন্দ্রে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন, সতেজ মন নিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে ক্লাসে মনোনিবেশ হতে পারে সেই লক্ষে সকালে কোচিং বা বাড়তি ক্লাস বন্ধকরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মানসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করণে ভূমিকা রেখে আলোচনায় এসেছেন এই নির্বাহী কর্মকর্তা।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেই উদ্দেশ বাস্তবায়নে আমি কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে কোন সমস্যা থাকলে দ্রুত তা সমাধানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মণিরামপুরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মডেল হিসেবে গড়তে তার এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।