যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের আগরাইল গ্রামে সৎ বাবার ছুরিকাঘাতে সুমী (২৫) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত দুইটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। হত্যাকান্ডের পর থেকে নাজমুল নামে ঘাতক ওই পিতা পলাতক রয়েছে।
নিহতের মা রেশমা বেগম ও খালা শিল্পী বেগম জানান, সুমীকে নিয়ে তারা ঢাকায় থাকেন। ঠেলাগাড়িতে করে ভিক্ষা করেন। সুমীর সৎ বাবা নাজমুল ঢাকায় রিকশা চালায়। কোরবানির ঈদের আগে তারা যশোরে আসেন।
সুমির মা রেশমা বেগম জানান, সুমী তার প্রথম ঘরের সন্তান। এই সংসারে তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি তার বড় মেয়ে সাথীর বিয়ের কারণে নাজমুল সুমীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। সুমীর উপার্জিত ওই টাকা ঈদের পরেই ফেরত দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নাজমুল ধারের সেই টাকা দিতে গড়িমসি করে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায়ও তাদের মধ্যে গট্রগোল ও হাতাহাতি হয়। এরপর নাজমুল বাড়ির বাইরে চলে যায়। সুমি তার নানীর সাথে ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিল। নাজমুল রাতে বাড়ি ফিরে এসে ঘুমন্ত সুমিকে এলাপাতাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সুমীর পেটে পিঠে ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি আঘাতে জখম হয়। আহত সুমিকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ মিনিট পরই তিনি মারা যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এম আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, ছুরিকাঘাতের ফলে মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাতে তাকে চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে সুমি মারা যান।
যশোর কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সমির কুমার সরকার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘাতক নাজমুলকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।