এলজিইডির গাড়ি চালক জগলু হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও চালক আটক

ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িচালক এটিএম হাসানুজ্জামান ওরফে জগলু হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও চালককে আটক করা হয়েছে। আটক হুসাইন আহম্মেদ (২২) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান খানের ছেলে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক গাজী মাহবুবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ৩১ আগস্ট শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে প্রাইভেটকার চালক হুসাইন আহম্মেদকে গ্রেফতার করে। এসময় উদ্ধার করা হয় জগলু হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি। (নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-৩২-৮৮১০)। এই প্রাইভেটকারে বসিয়ে জগলুকে চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে অজ্ঞান করে স্ত্রী তাহমিনা পারভীন তমা (৩৭) দুই প্রেমিক আলামিন ও মুরসালিনের সহযোগিতায় হত্যা করেন। এর আগের দিন ৩০ আগস্ট শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় নিহত জগলুর স্ত্রীর তাহমিনা পারভীন তমাকে। আটক হুসাইন আহম্মেদকে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে হুসাইন আহম্মেদ ১৬৪ ধারার জবান বন্দিতে হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের চুড়ামনকাটি বারীনগরের মাঝামাঝি এলাকার মাঠে এটিএম হাসানুজ্জামান ওরফে জগলুর জবাই করা লাশ পাওয়া যায়। আগের দিন ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টায় ঝিনাইদহ এলজিইডির গেটে ডিউটিরত আনসার সদস্য মহিদুল ইসলামকে বলে রাতে তিনি ফিরবেন না ভাইরার বাড়ি দাওয়াত খেতে যাবো। এই কথা বলে তিনি ঝিনাইদহ ডাক বাংলো থেকে বেরিয়ে যান।