কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সোহাগ হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে নাজমুল ও ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল এলাকার আবুল কালামের ছেলে রনি। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শহরের চৌড়হাঁস এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাব্বি, একই এলাকার খলিলের ছেলে রফিক ও সদর উপজেলার কুমারগাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে সুজা। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমারগাড়া এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে সোহাগকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। এর দুইদিন পর ১১ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন ইপিল ইপিল বাগান থেকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় সোহাগের খালু শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত ৫ জনকে আসামি করে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ভেড়ামারা থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন। দীর্ঘশুনানি শেষে আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে পেনাল কোড ৩০২ ও ৩৪ ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন।