যশোরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় তদন্ত কমিটি গঠন

benapole jessore map

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা ইউনাইটেড স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অশোক কুমার সুরের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্ত কার্যক্রম অগ্রগতি পর্যাবেক্ষণ করার জন্য আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ কলেজে যান।

স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক সাধন ঘোষ জানান, গত ২৭ আগস্ট সকালে স্কুল শাখার বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অশোক কুমার সুর তার কোচিং সেন্টারে কইখালি গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ইভটিজিং করেন। এসময় অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা দেখে ফেললে বিষয়টি সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আফরোজা আক্তার বুলবুলের নেতৃত্বে তিনজন শিক্ষক ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান এবং ওই ছাত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত শোনেন। এরপর ওই দিন রাতে স্থানীয়রা স্কুল এন্ড কলেজের সব দেয়ালে শিক্ষক অশোক কুমার শাস্তির দাবিতে দেয়ালিকা এবং পোষ্টার সাটিয়ে দেয়। পরদিন ২৮ আগস্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে অধ্যক্ষ আওয়াল হোসেন জরুরী ভাবে আলোচনায় বসেন। এসময় সর্বসম্মতিক্রমে দরাজহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান, সহকারি অধ্যাপক ফয়সাল রশিদ ও গোপাল চন্দ্র অধিকারীকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেয়ালে শিক্ষক অশোক কুমার সুরের শাস্তির দাবিতে দেয়ালিকা ও পোষ্টার সাটানোর সংবাদ পেয়ে তিনি স্কুল এন্ড কলেজে না এসে শারীরিক অসুস্থ্যতার কথা ৪ দিনের ছুটির দরখাস্ত পাঠিয়েছেন। এদিকে তদন্ত কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শনের জন্য মঙ্গলবার কলেজে আসেন বাঘারপাড়া নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ। এসময় তদন্ত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যক্ষ আওয়াল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত কমিটির কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ আজ কলেজে আসেন। তিনি তদন্ত কমিটির কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তদন্ত কমিটির সদস্য দরাজহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান জানান, তদন্ত কমিটিকে ১০দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা রয়েছে। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাড়াতাড়ি রিপোর্ট জমা দেয়া সম্ভব হবে। শিক্ষক অশোক কুমার ছুটির দরখাস্ত পাঠিয়েছেন বলে অধ্যক্ষ আওয়াল হোসেন ও তদন্ত কমিটির সদস্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষক অশোক কুমার সুরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত. স্কুল পর্যায়ের বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অশোক কুমার সুর ইতোপূর্বে ছাত্রী শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে কয়েক লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন।