যশোরের ভবদহে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান এবং জোয়ারাধার (টিআরএম-টাইটাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) চালুর দাবীতে অভয়নগর উপজেলঅ নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সোমবার অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসন আন্দোলন কমিটির ডাকে এ অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়। সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ভবদহ জলাবদ্ধ এলাকার সহস্রিধিক নারী-পুরুষ বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান ধর্মঘটে যোগ দেয়।
অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে উপজেলা পরিষদের সামনে ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসন আন্দোলন কমিটির এবং অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এনামুল হক বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে সহমত পোষন করে বক্তব্য রাখেন অভয়নগর পজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহীনুজ্জামান।
এছাড়াও অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, পায়রা ইউপি চেয়ারম্যান ও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব বিষ্ণুপদ দত্ত, পাইকগাছা উপজেলা পানি উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান, অভয়নগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মোল্যা, ভবদহ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতলেব সরদার, মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র, মনোহরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, সুন্দলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ মল্লিক, যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রউফ মোল্যা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্যা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুজ্জামানের হাতে আন্দোলন কমিটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
বক্তারা বলেন, ভবদহ সমস্যার সমাধানের নামে প্রকল্পের পর প্রকল্প গ্রহন করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। কিন্তু ভবদহ সমস্যার সমাধান হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিল কপালিয়ায় টিআরএম চালু করার দাবী জানান। তা না হলে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও ১২ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, অনশন কর্মসূচিসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর এবং খুলনা জেলার ডুমুরিয়া ও সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষের দু:খের নাম ভবদহ। এলাকার ২৭ টি বিলের সাথে জড়িত কয়েক লাখ পরিবার। তারা প্রতিবছর জলাব্ধতার শিকার হয়। সব কয়টি নদীতে নাব্যতা সংকট। পলি পড়ে নদীর বুক উঁচু হয়ে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে চলতি বর্ষা মৌসুমী ভয়াবহ জলাব্ধতার সৃষ্টি হবে। বিপদগ্রস্থ হবে ২৫ লাখ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ হবে গবাদি পশু, ফসলি জমি ও কয়েক হাজার মাছের ঘের।