বাঘারপাড়ায় দুঃস্থ ও হত-দরিদ্রদের ঘর পেল স্বচ্ছল ও বিত্তশালী বলাইয়েরা

jessore map

যশোরের বাঘারপাড়ায় ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যাবস্থপনা অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যায়ে দুঃস্থ ও হত-দরিদ্রদের ঘর স্বচ্ছল ও বিত্তশালীদের নামে বরাদ্ধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়নের হাবুল্যা গ্রামে এক ব্যাক্তিকে এ ঘর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়নের হাবুল্যা গ্রামের পঞ্চানন রায়ের ছেলে বলাই রায় একজন ধনী ব্যাক্তি। যার ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকার ডিপোজিট আছে, কৃষি ব্যবসা ও মাছের ঘেরের চাষ আছে। বলাই বর্তমান হাবুল্যা ও সৈয়দ মাহমুদপুর মৎস্যজীবি সমবায় লি: সমিতির সাধারণ সম্পাদক। বাঘারপাড়ার হাবুল্যা মৌজার ১৯৪ নং খতিয়ানে ১২১ নং জে.এল এ বলাই রায়ের পিতা পঞ্চানন রায়ের নামে ২ একর ৭৫ শতক জমি রয়েছে। বলাই কিভাবে ঘর পায়, এমন প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।

হাবুল্যা গ্রামের খোকন মোল্যা বলেন, বলাই একজন বিত্তশালী লোক। সে দুঃস্থদের ঘর পাওয়ার উপযুক্ত না। কিছু দিন পূর্বে হাবুল্যা গ্রামের রবেনের কাছ থেকে ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বাড়ি সহ জমি ক্রয় করেছে। তার একটা ডিসকভার মোটরসাইকেল রয়েছে। পি.এইস.এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য। বলাই যেন ঘর না পায় সে জন্য এলাকাবাসি গণস্বাক্ষর দিয়েছেন। আমরা চাই প্রকৃত গরিব দুঃস্থ লোক ঘর পায়।

ঘর পাওয়া ব্যক্তি বলাই রায়ের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

দরাজহাট ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন বাবলু বলেন, আমার ইউনিয়নে দুইটি ঘর বরাদ্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বলাইয়ের নামে মাত্র ৪ শতক জমি আছে। বলাই ঘর পাওয়ার মোটামুটি যোগ্য। তাই সে ঘর পেয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুন নাহারকে মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আপনি অফিসে এসে কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ বলেন, আমি বাঘারপাড়ায় যোগদানের আগেই বলায়ের নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছে।