এ যেন পাহাড়ি অঞ্চলের কোনো স্বুস্বাদু বাহারি মাল্টা ফলের বাগান। থোকায়-থোকায় কাঁচাপাকা মাল্টা ফলে পরিপূর্ণ বাগানের প্রায় ২’শতাধিক গাছ। পুরো বাগানের প্রতিটা গাছে’ই ধরেছে মাল্টা ফল। মন জোড়ানো এবাগান টি ২০১৭ সালে যশোরের কচুয়া গ্রামের কাশেম খানের ছেলে মাহমুদুল হাসান রনি তাদের অনাবাদি ফেলে রাখা জমিতে বাবার সহযোগীতায় গড়ে তোলেন সখের বাগান।
মাহমুদুল হাসান রনি জানান, মুলত: পত্রপত্রিকা ও টিভি’তে দেশের বিভিন্ন স্থানে সখের বসে মাল্টা বাগান গড়ে তোলার খবর দেখে তারও দৃঢ়ইচ্ছা কাজ করতে থাকে। এক পর্যয়ে বাবার সাথে এই ইচ্ছার কথা জানালে প্রায় ৫২ শতাংশ একটা অনাবাদি জমি দেখিয়ে দেন। পরে কচুয়া ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা আজিজ খানের সহযোগীতায় যশোর হার্টিকালচার থেকে ২শ’টি বারি সেভেন জাতের চারা ক্রয় করে নিয়ে আসি। মাল্টার বাগান করার মাত্র এক বছরের মাথায় কম বেশী প্রতিটা গাছে ফলও ধরে। পাহাড়ি অঞ্চলের এই ফল সমতলেও স্বাধ-গন্ধ একই আছে। এবছর থেকে কল্পনাতিত ভাবে মিষ্টি স্বাদের বড় সাইজের মাল্টায় পরিপূর্ণ হয়েছে প্রত্যেকটা গাছ। যা দেখতে অনেকে আমার বাগানে আসছে। কৃষি বিভাগ থেকে কেউ কখনো আমাকে কোনো প্রকার পরামর্শ ও সহযোগীতা করেনি। এপর্যন্ত আমি সম্পূর্ণ নিজের আইডিয়ায় সার-কিটনাশক ব্যাবহার করে সফলতা পেয়েছি। কয়েক বছর পূর্বেও এই জমি ফাঁকায় ছিলো এতে কোনো আবাদই হতো না। ফেলে রাখতে হতো বছরের পর বছর। আজ সেই জমিতে প্রাণ জোড়ানো দৃশ্যের ফল বাগান। ভবিষৎএ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা’র পরামর্শ ও সহযোগীতা পেলে বানিজ্যিক ভাবে মাল্টা বাগান গড়ে তুলবো।