বুয়েট চাইলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

sk hasina
ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের পিটুনিতে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের যে দাবি উঠছে তাতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুয়েট চাইলে সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তবে সামগ্রিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির বিরোধিতা করেন তিনি।

বুধবার বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি নিউইয়র্ক ও ভারত সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ছাত্র রাজনীতির নিষিদ্ধের দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে কিন্তু ছাত্রদের ভূমিকা। অনেক প্রতিষ্ঠানেই এই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। বুয়েট চাইলে তারাও বন্ধ করতে পারে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি একেবারেই বন্ধ এটা তো মিলিটারি ডিকটেটরদের কথা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ছাত্র রাজনীতি করেই কিন্তু এখানে এসেছি। ছাত্রজীবন থেকেই আমার দেশের কথা, মানুষের কথা চিন্তা করেছি বলেই আজ কাজ করতে পারছি।’

ছাত্রলীগের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আগে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য আন্দোলন করেছে এই সংগঠন। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ।’ তিনি জানান, ছাত্রলীগের আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন না। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সেটা আছে, সবাইকে দেখে নিতে অনুরোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, এদেশে ছাত্র রাজনীতি নষ্ট করেছে সামরিক শাসকেরা। আইয়ুব খানের পর জিয়াউর রহমান এর জন্য প্রধানত দায়ী।

বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেফটি কে দেবে? পুলিশ গেল আলামত সংগ্রহ করতে, তাদের যেতে দেয়া হলো না। পুলিশ কিছু করতে গেলে তো আবার অন্য কথা আসবে। আলটিমেটাম দেয়ার পর ভিসি গেল, সেখানে ভিসিকেও আটকাল। ভিসির সঙ্গে যেভাবে কথা বলেছে কে ছাত্র আর কে ভিসি সেটাই তো বলা মুশকিল। কাগজ ধরিয়ে বলছে এখনই পাঠ করতে হবে। সেখানে তো সব বিলিয়ান্ট স্টুডেন্ড, তারা কি কিছু বুঝে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। তারা আন্দোলন করছে করুক। আমরা চাই না পুলিশ হস্তক্ষেপ করুক।’