কুষ্টিয়ায় মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানালো পুলিশ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মা ও ছেলেকে হত্যার কারণ উদঘাটনের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার একজনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, চুরি করার সময় চোরদের চিনে ফেলায় প্রথমে মাকে হত্যা করা হয়। আর মাকে হত্যার বিষয়টি দেখে ফেলায় হত্যা করা হয় ছেলেকেও।

রোববার রাতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার যুবক ছাড়াও আরও কয়েকজন জড়িত বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোস্তাফিজুর রহমান ও ভেড়ামারা সার্কেল এসএম আল-বেরুনী।

তারা জানান, সোমবার সকালে দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের বাড়ির দুটি কক্ষ থেকে ছানোয়ারা খাতুন (৫০) ও তার ছেলে রাজের (৮) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ছানোয়ারের মেয়ে পারভীনা খাতুন সোমবার রাতেই দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে লালচাঁদ মণ্ডল (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লালচাঁদ পেশায় রাজমিস্ত্রি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বামী পরিত্যক্তা ছানোয়ারা খাতুন ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। এলাকায় তিনি সুদের ব্যবসা করতেন। এতে তার কিছু অর্থসম্পদ হয়েছিল। গ্রেফতার লালচাঁদ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, রোববার রাতে আরও কয়েকজনকে নিয়ে ছানোয়ারার বাড়ির সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকে সে। এ সময় ছানোয়ারা টের পেয়ে ঘরের আলো জ্বালায় এবং কয়েকজনকে চিনে ফেলে। পরে তারা ছানোয়ারাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এসময় ধস্তাধস্তি ও মায়ের গোঙানি শুনে ছেলে রাজ ছুটে এলে তাকেও একইভাবে হত্যা করে পাশের কক্ষে ফেলে রাখে তারা।

গ্রেপ্তার লালচাঁদ হত্যার মূল কারণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের নাম-পরিচয় দিয়েছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এদিকে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে লালচাঁদকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।