অনিশ্চয়তায় পেঁয়াজের দ্বিতীয় চালান

বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্সের নন সিডিউল ফ্রেইটারে আরও ১০৫ টন পেঁয়াজ আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছানোর কথা থাকলেও রাত ৮টা পর্যন্ত আসেনি। রাতে আসবে কি না, তা-ও নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। সে কারণে বলা যায়, আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে নন সিডিউল ফ্রেইটারে আশার সম্ভাব্য দ্বিতীয় চালান।

এ প্রসঙ্গে বিমানের কার্গো উপ-বিভাগের সুপারভাইজার আতিকুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বুধবার চালান আসার দুই ঘণ্টা আগে থেকে কাস্টমস এবং আমদানিকারক প্রতিনিধিরা কাস্টমসের সামনে ভিড় জমান। আজ কোনো আনাগোনা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘নন সিডিউল ফ্রেইটারের আগমনের দিনক্ষণ জানানো হয় না। তাই বলা যায়, দ্বিতীয় চালান আজ না-ও আসতে পারে।’

আজ সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজের দ্বিতীয় চালানটি আসার কথা জানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ।

দেশে চলমান পেঁয়াজের ঘাটতি এবং বেশি মূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকারের বিশেষ অনুরোধে এস আলম গ্রুপ মিশর ও তুরস্ক থেকে বাল্ক ও কন্টেইনারের মাধ্যমে সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫৮ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। কিন্তু সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানিতে সময় প্রয়োজন। দ্রুত চাহিদা মেটাতে এস আলম গ্রুপ আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত থেকে আকাশপথে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে পৌঁছতে শুরু করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে ১০টি কার্গো উড়োজাহাজ বুকিং নিশ্চিত করা হয়েছে। যার প্রতিটিতে ১০৫-১১০ টন পেঁয়াজ আসবে। যতদিন সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক না হবে প্রয়োজনে আরও আমদানির ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এস আলম গ্রুপের আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যে বাজারজাত করা হচ্ছে।