শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে রিট

high-court

দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।

রবিবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া।

তিনি বলেন, ‘আবেদনটির ওপর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।’

আবেদনে বলা হয়েছে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নিস্ক্রিয়তা বাংলাদেশ সংবিধানের ১৭(ক ও খ), ১৮ (১ ও ২) ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ফরহাদ উদ্দিন বলেন, ‘দেশের প্রতিটি নাগরিক উপযুক্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এগুলো নিশ্চিতের বিষয়ে রাষ্ট্র কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু ক্রমাগত তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপ্তির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্তি, যৌন হয়রানি ও আত্মহত্যা চেষ্টা, হত্যাসহ নানারকম নৈতিক অবক্ষয়, বেপরোয়া জীবনযাপন, ব্যাক্তিত্বের সংকট, পড়াশোনায় অমনোযোগীতা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের ঘটনা ঘটছে।’

‘সাম্প্রতিককালে এ বিষয়গুলো আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এসব বিষয় ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে। যার কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি অনিশ্চিত পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’

রিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে একটি পরিকল্পিত অর্থনৈতিক ও কর্মক্ষম জনশক্তি গড়ে তোলা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রত্যেক নাগরীকের সুস্বাস্থ্য ও মানসম্পন্নভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।

অথচ সে সুবিধা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে এবং এর ফলে বিভিন্ন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা বিগত কয়েকবছর ধরে আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সমাজে মারাত্বক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর (পরামর্শক) ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন।

রিটে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স চিব এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।