কুষ্টিয়ায় আ’লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১৫

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুগ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সম্মেলন শুরুর আগেই দলের বিবদমান দুই গ্রুপ হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ১৫ জন আহত হন। সোমবার সকালে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর ২ টার দিকে খোকসা উপজেলার জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু ওই সম্মেলন শুরুর আগেই সকাল ১১ টারদিকে জেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের সমর্থকরা সভাস্থলের সামনের সারিতে চেয়ার দখলের চেষ্টা করে। এ সময় তাদের মধ্যে চরম বাক-বিতণ্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে হলুদ গেঞ্জি পরিহিত কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়।

লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উভয়পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় খোকসা ইউনিয়নের ক্লাবমোড়, তেল পাম্প, বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোটা উঁচিয়ে অবস্থান নেয়। ফলে সংঘর্ষ চলাকালে চারিদিকে ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের ভাতিজা রবিন খান (২৮), জয়নাল মোল্লা (৫৫), শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল (৪৩), আকাশ (১৮), আছিব (১৬), উজ্জল (৪৮), সাগর (২৬), নয়ন (৩০), লিটন (৩০), জিহাদ (১৭), দুলাল (২৮), মতিন শেখ (৩৫), হজরতকে (৩২) খেকাসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরানী ফেরদৌস দিশা ঘটনাস্থলে এসে টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ব নির্ধারিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। তবে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা ও কার্যক্রম শুরু হলেও দুগ্রুপের মধ্যে বিরাজ করছিল টানটান উত্তেজনা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তার জানান, সম্মেলন ঘিরে চক্রান্তকারীরা নানা অপচেষ্টা চালিয়ে করছে, তবে বহুল প্রতীক্ষিতত এ সম্মেলন যেকোন মূল্যে সম্পন্ন করা হবে।

খোকসা থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।