যশোর রোডের দু’পাশে গাছ লাগানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যশোর রোডের দুই পাশে গাছ লাগানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, গাছ ছায়া দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রাখে। সড়ক ও পরিবেশের উপকার করে। অন্য দিকে, অতি বৃষ্টি ও রোদ সড়কের ক্ষতি করে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্প্রসারণসহ ৬ উন্নয়ন প্রকল্পের চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৭ হাজার ৩১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৭৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪ হাজার ২১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে ৩২১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এবং একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, একনেকে যশোরের পলবাড়ি-দড়াটানা-মনিহার-মুড়ালী জাতীয় মহাসড়কের মনিহার থেকে মুড়ালী পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় এতে গাছ লাগানোর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে জেলা-উপজেলায় সমন্বতিভাবে বহুতল বিশিষ্ট সরকারি আবাসন ভবন নির্মাণ করতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা একসঙ্গে বসবাস করবেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে যেসব অনুশাসন দিয়েছেন, সেসবের একটি প্রকাশনা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সাত হাজার ৩১২ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয় প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়া-সারিয়াকান্দি জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন এবং বাঙ্গালী নদীর ওপর আড়িয়ারঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাগুরা-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কের বাঁক সরলীকরণসহ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭২৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

এ দিন অনুমোদিত ফেনী আলোকদিয়া-ভালুকিয়া-লস্করহাট-ছাগলনাইয়া জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। নাটোর রোড থেকে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ২০৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। পাশাপাশি ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড সঞ্চালন ব্যবস্থা স¤প্রসারণ প্রকল্পের মোট ব্যয় পাঁচ হাজার ৯৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকারের এখন দু’টি প্রধান লক্ষ্য হচ্ছেÑ সারাদেশে সড়কের উন্নয়ন এবং বিদুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো। এ লক্ষ্যে আজ একনেকে অনুমোদিত ৬ প্রকল্পের মধ্যে ৫টি রাখা হয়েছে সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে সড়ক সংস্কার, বাঁক সোজা করা এবং পুরনো বেইলি সেতু বাতিল করে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা। পাশাপাশি আন্তঃজেলা সড়ক চার লেনে উন্নীত করা।

তিনি বলেন, পরিবেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সড়কে বেশি করে গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পল্লী এলাকায় যত ছোট রাস্তা হোক না কেন সেখানো যেন রাস্তার দু’পাশে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি ২০০৯ থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত একনেকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুশাসন নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে। আজ একনেক সভায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- পলবাড়ি-দড়াটানা-মনিহার-মুড়ালী জাতীয় মহাসড়ক এর মনিহার হতে মুড়ালী পর্যন্ত ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প, এর খরচ ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। বগুড়া-সারিয়াকান্দি জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন এবং বাঙ্গালী নদীর উপর আড়িয়ারঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় হবে ২৪০ কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, মাগুরা-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কের বাঁক সরলীকরণসহ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭২৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ফেনী-আলোকদিয়া-ভালুকিয়া-লস্করহাট-ছাগলনাইয়া জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নতীকরণ প্রকল্পের খরচ হবে ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

এছাড়া নাটোর রোড হতে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড সঞ্চালন ব্যবস্থা স¤প্রসারণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।