তিন বছরের সর্বনিম্নে ভারতে চালের দাম, শুল্ক ছাড় বিবেচনা করছে বাংলাদেশ

শীর্ষ রফতানিকারক ভারতে চালের দাম এই সপ্তাহে প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে ছিল। এদিকে প্রতিবেশী বাংলাদেশ মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি শুল্ক ছাড়ের কথা বিবেচনা করছে। ভারতে ৫ শতাংশ ভাঙা আধা সিদ্ধ চালের দাম টন প্রায় ৩৫৮ থেকে ৩৬২-এ অপরিবর্তিত ছিল যা ২০১৭ সালের জানুয়ারীর পর সর্বনিম্ন।

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের কাকিনাড়াভিত্তিক এক রফতানিকারক বলেছেন, গ্রীষ্মে লাগানো ফসল কাটার গতি বাড়ছে, কিন্তু রফতানির চাহিদা বাড়ছে না।
রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, সরবরাহ বাড়ার ফলে বিভিন্ন স্পট মার্কেটে সরকার নির্ধারিত দাম কুইন্টাল (১০০ কেজি) প্রতি ১,৮৩৫ টাকা অপেক্ষা নিচে নামতে শুরু করেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ স্থানীয় মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রীর আমদানি শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে দাম স্থিতিশীল না হলে আমরা এটিতে (শুল্ক ছাড়ে) যাব।

মে মাসে, অভ্যন্তরীণ মূল্য একেবারে কমে যাওয়ায় প্রতিবাদের মুখে কৃষকদের সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করে। তবে ভালো ফসল ও পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও গত কয়েক সপ্তাহে দাম আবার বেড়েছে। খাদ্যমন্ত্রী কিছু ব্যবসায়ীকে দামের হেরফেরের জন্য দায়ী করেছেন।

একজন ব্যবসায়ী বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি না সরকার এ জাতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। দেশে বিপুল পরিমাণ মজুদ থাকা সত্ত্বেও এটা করা হবে আত্মহত্যা’।

ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চাল চতুর্থ সপ্তাহের জন্য প্রতি টন ৩৪৫ থেকে ৩৫০ ডলারে থেকে যায়, তবে ফিলিপাইনের আমদানি স্থগিত না করার গত সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে চাহিদা কিছুটা বেড়েছে।

থাইল্যান্ডের ৫ ভাগ ভাঙা চালের দামও প্রতি টন ৩৯৪ থেকে ৪১০ ডলারে অপরিবর্তিত ছিল, কারণ ভিয়েতনাম এবং ভারতের মতো প্রতিযোগীদের প্রস্তাবিত দাম ছিল কম।

ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘আমি গত দুই মাস ধরে এক টনও চাল বিক্রি করতে পারিনি, এটি অবিশ্বাস্য’। সূত্র : রয়টার্স।