নওয়াপাড়া বন্দরে নৌ-যান ধর্মঘটে সারাদেশে পড়েছে ব্যাপক প্রভাব

বাংলাদেশ নৌ-যান ফেডারেশনের ডাকে আহুত ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সারা দেশে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে নৌ-যান শ্রমিকের ১১ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দেশের বৃহত্তম সার, কয়লা ও নানান ধরনের খাদ্যশস্য আমদানী কারকের মোকাম যশোরের নওয়াপাড়ায়। এখানে মোংলা বন্দর থেকে ভৈরর নদ হয়ে নৌ-যানে ওইসব মালামাল অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আনলোড হয়। লোড আনলোডের জন্য এখানে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন’শ ঘাট গড়ে উঠেছে। ওইসব ঘাটে ২৫ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিক লোড আনলোডের কাজ করেন।

নৌ-যান শ্রমিক ধর্মঘটের প্রভাবে অর্ধেক শ্রমিক বেকার বসে ছিলো বলে খবর পাওয়া গেছে। অভয়নগর-নওয়াপাড়া হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সরদার জানান, নৌ-যান শ্রমিক ধর্মঘটের কারনে ঘাটে জাহাজ থেকে কোন মালামাল লোড -আন লোড হয়নি। এর প্রভাবে আজ(শনিবার) আমাদের অর্ধেক শ্রমিক বেকার বসে আছে। এভাবে চলতে থাকলে শ্রমিকেরা কাজ হারিয়ে সমস্যায় পড়বে।
অভয়নগর – নওয়াপাড়া ট্রাক ট্রান্সেপোর্ট এজেন্সি শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ শেখ আলাউদ্দিন জানান, প্রতিদিন নওয়াপাড়া মোকামে ৫ থেকে ৭শ ট্রাক লোড হয়। আজ মাত্র এক থেকে দেড়’শ ট্রাক লোড হয়েছে। জাহাজ থেকে মালামাল আন লোড না হওয়ায় আমাদের অর্ধেকের বেশি শ্রমিক বেকার বসে আছে।

নওয়াপাড়া সার, সিমেন্ট ও খাদ্যশস্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল হোসেন জানান, নৌ-যান শ্রমিক ধর্মঘটের কারনে নওয়াপাড়া মোকামে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। আজ মোকামে অন্য দিনের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ কেনা -বেচা হয়েছে। এখন ইট পোড়ানো মৌসুম। জাহাজ থেকে কয়লা আনলোড না হওয়ায় ভাটা মালিকেরা বিপাকে পড়েছে। তা ছাড়া জাহাজে কয়লা আটকে রাখলে আগুন ধরে জাহাজের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এ সমস্যার দ্রুত সমাধান কমনা করেছেন।

এদিকে ধর্মঘটের আহবানে সাড়া দিয়ে আজ(শনিবার) বিকালে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের নওয়াপাড়া শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নওয়াপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে পূরাতন বাসস্টান্ডে নৌ-যান শ্রমিকেরা পথ সভায় মিলিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা বাহারুল ইসলাম বাহার, এ ছাড়া অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন,নওয়াপাড়া নৌ-বন্দর এলাকার আন্দোলন পরিচালনার কমিটির আহবায় মোস্তফা মাষ্টার, যুগ্ম আহবায় হাসান আলী মাষ্টার, সদস্য সিরাজ ড্রাইভার, সেন্টু ড্রইভার, মিজান ড্রাইভার, জাহাঙ্গীর আলম, জামাল হোসেন, হাবিব হোসেন, সোহাগ আলী ও নিয়ামুল ইসলাম প্রমুখ।