এনকাউন্টারে নিহত চার নরপিশাচ

পুরো ভারত নাড়িয়ে দেয়া হায়দরাবাদে একজন পশুচিকিৎসক যুবতীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চার নরপিশাচ পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে।

শুক্রবার খুব ভোরে মাহবুবনগর জেলার ছাতানপল্লী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে ওই নরপিশাচদের এনকাউন্টারে হত্যা করে সাইবারাবাদ পুলিশ।

সাইবারাবাদ পুলিশের শীর্ষস্থানীয় সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরিফ, নবীন, শিব ও ছেন্নাকেসাভুলু নিহত হয়েছে এনকাউন্টারে। এদের সবার বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।

পুলিশ দাবি করেছে অভিযুক্তদের নিয়ে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হয় তারা। ওই পশুচিকিৎসককে যে স্থানে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তা থেকে দু’চার মিটার দূরে ঘটে এ ঘটনা।

উল্লেখ্য, ওই পশু চিকিৎসক যুবতী রাষ্ট্র পরিচালিত একটি পশু হাসপাতালের সহকারী চিকিৎসক ছিলেন।

তিনি নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরে ২৮ নভেম্বর সকালে শাদনগরে একটি কালাভার্টের নিচে উদ্ধার করা হয় তার পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া দেহ। এ ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে পুলিশ ওই চার নরপিশাচকে গ্রেপ্তার করে ২৯ নভেম্বরে। গত শনিবার তাদেরকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। এই ধর্ষণ ঘটনা নিয়ে ভারতজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি পার্লামেন্টে হয়েছে উত্তপ্ত বিতর্ক। ধর্ষকদের জনতার হাতে তুলে দেয়ার দাবি উঠেছে। বলা হয়েছে, তাদেরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত। এ অবস্থায় গত বুধবার তেলেঙ্গানা সরকার চার নরপিশাচের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠাতে নির্দেশ জারি করে। এই দ্রুত বিচার আদালতের বিচার করার কথা বলা হয় মাহাবুবনগর জেলার অতিরিক্ত জেলা ও সেশন জজকে দায়িত্ব পালন করতে।