নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যা বলেছে

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ও ধর্মীয় স্বাধীনতার মতো ইস্যুতে ভারতের অভ্যন্তরে শক্তিশালী বিতর্ক চলছে। এমন অবস্থায় ভারতের গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন।

তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মাইক পম্পেও বলেছেন, যেকোনো স্থানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও তাদের ধর্মীয় অধিকারের বিষয়ে আমরা গভীরভাবে যত্নশীল এবং সব সময়ই এমন অবস্থান বজায় রাখবো। আপনারা যে ইস্যু উত্থাপন করেছেন তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলা সত্ত্বেও আমরা ভারতের গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই।

এতে বলা হয়, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এস্পারের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তর দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে প্রশ্নের বেশির ভাগ অংশে ছিল নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও আইনটির ধর্মীয় বৈষম্যের বিষয়ে।
মাইক পম্পেওর উদ্দেশে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মিস্টার সেক্রেটারি, সারা বিশ্বে ধর্মীয় অধিকারের বিষয়ে আপনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অত্যন্ত জোরালো বক্তব্য দিয়ে এসেছে। আপনি কি মনে করেন নাগরিকত্ব নির্ধারণে ধর্মকে ব্যবহার করা গণতন্ত্রের জন্য যথাযথ। এমন প্রশ্নের উত্তরে মাইক পম্পেও ওই মন্তব্য করেন।

তবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন তা ভারত সম্পর্কিত। যদি আপনি একটি বিশেষ আইন নিয়ে বিতর্কের বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে দেখতে পাবেন যে, সুনির্দিষ্ট কিছু দেশের ধর্মীয় নির্যাতিত কিছু সংখ্যালঘুর প্রয়োজন মেটানোর জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যদি আপনি লক্ষ্য করেন ওইসব দেশ কারা এবং সেখানকার সংখ্যালঘু কারা, তাহলে সম্ভবত আপনি বুঝতে পারবেন, যারা সীমান্ত অতিক্রম করে এসেছেন তাদেরকে চিহ্নিত করতে ধর্মকে কেন ব্যবহার করা হয়েছে।

মাইক পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এসব ইস্যুতে তার অবস্থানে অব্যাহত আছে। তা শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের বেলায় এক। তবে দুই দেশের মন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনার সময় ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের ইস্যু উত্থাপিত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো পক্ষই নিশ্চিত করেনি অথবা প্রত্যাখ্যানও করেনি। এর আগে ভারতের সঙ্গে দ্বীপক্ষীয় বৈঠকে মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয় উত্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।