প্রবাসে নারীকর্মীরা নির্যাতিত হলে এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

hasina
ফাইল ছবি

নারীকর্মীসহ অভিবাসী কর্মীরা বিদেশে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হলে রিক্রুটিং এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ না নিয়ে কোনো কর্মী বিদেশ যেতে পারবে না। এ ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে কঠোর হতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রিক্রুটিং এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্টদের এমন কঠোর বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রশিক্ষিত কর্মী বিদেশে গেলে তারা বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে এবং সেখানে ভালো থাকবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

কাজের দক্ষতা দেখিয়ে বিদেশে নিজেরাও ভালো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩ আমরা প্রণয়ন করেছি। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান নীতিমালা-২০১৭ এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড-২০১৮ প্রণয়ন করেছি। এ আইনগুলোতে প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সুরক্ষা, অধিকার ও কল্যাণের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে ঘরবাড়ি, জমি বিক্রি করে শূন্য হয়ে বিদেশে যান। আবার ধোঁকায় পড়ে ফিরে আসেন। এ জন্য যারা বিদেশে যেতে চান, তাদের জন্য আমরা সহজশর্তে ঋণপ্রাপ্তির ব্যবস্থা করেছি। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক করে দিয়েছি। তাদের আর যেন জমি বিক্রি করতে না হয়। তাদের সঞ্চিত অর্থ প্রয়োজনে এই ব্যাংকে জমা রাখতে পারবে।

প্রবাসীদের নিরাপত্তা, চাকরির নিশ্চয়তা, দক্ষতার সঙ্গে তারা যেন কর্মসম্পাদন করতে পারে তা নিশ্চিত করাই এই সরকারের লক্ষ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রবাসীরা আমাদের কাছে অত্যান্ত গুরুত্ব বহন করে। কারণ তাদের প্রেরিত অর্থ আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখে। আমাদের রিজার্ভে কাজে লাগে। আমরা যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করি, তার বেশিরভাগই প্রবাসীদের পাঠানো।

তাই প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ যাতে দেশের কাজে লাগে সরকারের সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেন জানান তিনি।

অবৈধ উপায়ে টাকা না পাঠিয়ে বৈধভাবে টাকা পাঠানোর জন্য প্রবাসীদের অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে টাকা পাঠায় অনেকসময় তাদের পরিবার পর্যন্ত সে টাকা পৌঁছায় না। বৈধভাবে টাকা পাঠানোর জন্য আমরা প্রণোদনার ব্যবস্থা রেখেছি।

রিক্রুটিং এজেন্সির উদ্দেশে তিনি বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সি যেন শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য অযথা কর্মী না পাঠায়। কিছু কিছু লোক দালালের খপ্পরে পড়ে সবকিছু বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমায়। এভাবে বিদেশে লোক পাঠালে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।